টেনিস বলের তারকা থেকে আইপিএলের মঞ্চ, মাধওয়ালের ‘আকাশ’ ছোঁয়ার গল্প জানেন?


MI, IPL 2023: অনেকেই ছেলেবেলা থেকে ক্রিকেটকে আঁকড়ে বড় হন। কিন্তু আকাশের ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। আকাশ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েট। তাই বেশ খানিকটা দেরিতেই ক্রিকেট জগতে পা রাখেন তিনি। কিন্তু ক্রিকেট যে তাঁর বরাবরের প্যাশন ছিল। তাই সেই পথেই এগোতে থাকেন আকাশ। লখনউয়ের বিরুদ্ধে চিপকে এলিমিনেটর ম্যাচে মাত্র ৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন মুম্বইয়ের আকাশ মাধওয়াল। প্লে-অফে এটাই সেরা বোলিং ফিগার।

টেনিস বলের তারকা থেকে আইপিএলের মঞ্চ, মাধওয়ালের ‘আকাশ’ ছোঁয়ার গল্প জানেন?

চেন্নাই : ভাগ্যদেবী যে কখন কার উপর প্রসন্ন হয়, তা বলা বেশ কঠিন। বছর চারেক আগেও উত্তরাখণ্ডের ছেলে আকাশ মাধওয়াল (Akash Madhwal) হয়তো ভাবেননি, একদিন তিনি আইপিএলের (IPL) মঞ্চে নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবেন। ২০১৯ সালে তিনি ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার ওয়াসিম জাফরের নজরে আসেন। এরপর ধীরে ধীরে বদলে যায় আকাশের জীবন। অনেকেই ছেলেবেলা থেকে ক্রিকেটকে আঁকড়ে বড় হন। কিন্তু আকাশের ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। আকাশ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েট। তাই বেশ খানিকটা দেরিতেই ক্রিকেট জগতে পা রাখেন তিনি। কিন্তু ক্রিকেট যে তাঁর বরাবরের প্যাশন ছিল। তাই সেই পথেই এগোতে থাকেন আকাশ। সোজা ক্রিকেট বলে নয়, বরং টেনিস বলে তাঁর ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয়। ধীরে ধীরে টেনিস বল থেকে লাল বলের ক্রিকেটে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছেন আকাশ। তাঁর কোচ মনীশ ঝা-য়ের কথায়, আকাশ অত্যন্ত চঞ্চল মনের। দেখতে দেখতে তিনি ধীর-স্থির হয়ে উঠেছেন। আর সেই আকাশ এখন আইপিএলের সবচেয়ে সফল দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অন্যতম সেরা অস্ত্র হয়ে উঠেছেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।

টেনিস বলে মেতে থাকা আকাশ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েট হলেও ক্রিকেটের নেশা ছেড়ে থাকতে পারেননি। ২০১৯ সালে ২৪ বছরের আকাশ তাঁদের রাজ্য দলে এক ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন। সেই সময় ভারতীয় ক্রিকেটার প্রাক্তন ক্রিকেটার ওয়াসিম জাফরের নজর কাড়েন। ওয়াসিম এরপর আকাশকে রাজ্য দলে নেন। এরপর প্রাক্তন সার্ভিসেস পেসার মনীশ ঝা উত্তরাখণ্ডের কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর আকাশের জীবন বদলে যায়। মণীশ ঝা-য়ের কোচিংয়ের আকাশ নিজেকে মেলে ধরতে থাকেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের নয়া পেস সেনসেশন আকাশ মাধওয়ালের কোচ মনীশ ঝা বলেন, ‘ও ভীষণ চঞ্চল মনের। টেলিভিশনে বোলারদের বৈচিত্রময় বোলিং করতে দেখে আকাশও তেমন বল করতে চাইত। আমি ওকে বোঝাতাম যে, জোরে বল করায় ফোকাস করো আর বেশি রান খরত করো না। পরে নিজের বোলিংয়ে বৈচিত্র দেখানোর অনেক সুযোগ পাবে। আমরা ওকে আশ্বস্ত করেছিলাম, যে বিজয় হাজারের প্রতিটি ম্যাচেই খেলবে।’

আকাশের টেনিস বল থেকে লাল বলে মানিয়ে নিতে খুব বেশি সময় লাগেনি। মনীশ ঝা-য়ের কথায়, এখনও ও লাল বল নিয়ে কাজ করে চলেছে। তিনি আরও বলেন, ‘ও যেহেতু ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্টুডেন্ট, তাই দ্রুত সূক্ষ্ম দিকগুলো বুঝতে পারে। শিখে নেয়। ওর বাবা নেই। ওর পরিবারের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল ছিল না। ওকে সবসময় যা বলা হত ও সেটা মন দিয়ে শুনত এবং কাজে লাগানোর চেষ্টা করত।’

মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে দীর্ঘদিন রয়েছেন আকাশ। এ বার রোহিত শর্মা ও টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁর ওপর ভরসা রাখল। তিনিও এই ভরসার মান রাখলেন। চলতি আইপিএলে মুম্বইয়ের হয়ে ৭টি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। আর তাতে ১৩টি উইকেট নিয়েছেন। যার মধ্যে লখনউয়ের বিরুদ্ধে চিপকে এলিমিনেটর ম্যাচে মাত্র ৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন আকাশ মাধওয়াল। প্লে-অফে এটাই সেরা বোলিং ফিগার।

Leave a Reply