MS Dhoni on Deepak Chahar in IPL : ধোনির দলের অন্যতম ভরসা দীপক চাহার। তিনি যে কোনও পিচেই সুইংয়ে পারদর্শী। দীপকের প্রতি মাহির আস্থা বরাবরের। দীপক জানান, ২০১৮ সালে কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং জানিয়েছিলেন ২-৩ ম্যাচ যাওয়ার পর তাঁকে খেলানো শুরু হোক। যা শুনে ধোনি বলেছিলেন, ‘ও তো ১৪টা ম্যাচেই খেলবে। এ ছাড়া অন্য কথা হোক।’ কতটা বিশ্বাস থাকলে একজন ক্রিকেটারকে ১৪টি ম্যাচেই খেলাতে বলতে পারেন কোনও অধিনায়ক? মাহি আর দীপকের সম্পর্ক তারই জ্বলন্ত উদাহরণ।
Image Credit source: Twitter
আমেদাবাদ : মেগা ফাইনাল মানেই ম্যাচ উইনারদের দিকে বিশেষ নজর থাকে। আমেদাবাদে আজ, রবিবার এ বারের আইপিএলের ফাইনাল (IPL 2023 Final)। মুখোমুখি চার বারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস ও গত বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স। দুই দলেই রয়েছেন একাধিক ম্যাচ উইনার। মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) দলের অন্যতম ভরসা দীপক চাহার (Deepak Chahar)। গত মরসুমের নিলামে ১৪ কোটি টাকায় সিএসকে তাঁকে কিনেছিল। যে কোনও পিচে তিনি বল সুইং করাতে পারেন। শুধু তাই নয়, শুরুতেই উইকেট নিতেও পারদর্শী। যে কারণে দীপককে নিতে ১৪ কোটি টাকা খরচ করতে হলেও খুব বেশি ভাবেনি চেন্নাই। আজ রবিবার আমেদাবাদে হার্দিকদের বিরুদ্ধে দীপকের সুইং পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। আর এই দীপক কীভাবে সুইং রপ্ত করেছিলেন? সেই গল্প জানেন? বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
একাধিক ক্রিকেটারের নিজস্ব কিছু ট্রেডমার্ক শট থাকে। কোনও বোলার স্পিনের জাদুতে মাত করেন, তো সুইংয়ে কেউ কামাল করেন। আইপিএলের প্রতি ফ্র্যাঞ্চাইজিতেই প্রতিভায় ঠাসা। দেখতে দেখতে আইপিএলের ১৬তম সংস্করণের ফাইনালের দিন চলে এল। যে ম্যাচে মাহির দলের সেরা অস্ত্র হয়ে উঠতে পারেন দীপক। সুইংয়ে ওস্তাদ দীপক একদিনে তা রপ্ত করতে পারেননি। ছেলেবেলা থেকে এই নিয়ে কড়া অনুশীলন করে সাফল্য পেয়েছেন। আসলে দীপক ছেলেবেলায় যখন ক্রিকেট খেলা শুরু করেন, তখন তাঁর বাবা বই পড়ে পড়ে তাঁকে ক্রিকেটের খুঁটিনাটি শেখাতেন। দীপকের বাবা কুস্তিগির ছিলেন। তিনি বই পড়ে ইনসুইং আর আউটসুইংয়ের ব্যাপারেই জানতেন। তাই ছেলেকে এই শিল্পেই পটু করবেন ভেবেছিলেন। দিনে ২৫০ ইনসুইং আর ২৫০ আউটসুইং করতেন দীপক। মোট ৫০০টা বল করতেন। কঠোর পরিশ্রম করতে করতে সাফল্য ধরা দিয়েছে দীপকের হাতে।
সম্প্রতি গৌরব কাপুরের শো ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়নে গিয়েছিলেন দীপক চাহার। সেখানেই তিনি এই সুইং রপ্ত করার গল্প তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমি রোজ ৫০০টা করে বল করতাম। ২৫০টি ইনসুইং আর ২৫০টি আউটসুইং। লোকে বলে আমি সহজাত সুইং বোলার। কিন্তু আমার জন্য কোনও কিছুই ন্যাচারাল বিষয় নয়। ছেলেবেলা থেকে যদি ভালো করে অনুশীলন করে কেউ তা হলে এই ব্যাপারটা যে কেউ রপ্ত করতে পারবে।’ দীপক এরপর সূর্যকুমার যাদবের উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, অনেকেই সূর্যর একাধিক শট দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়। একদিনে ও এই শট রপ্ত করতে পারেনি। ছেলেবেলা থেকে অনুশীলন করতে করতে এটা হয়েছে। এই রকম শট রপ্ত করতে গিয়ে ও অনেকবার আউটও হয়েছে। কিন্তু শেষ অবধি সফল হয়েছে।
ধোনির দলের অন্যতম ভরসা যে দীপক চাহার, তা কারও অজানা নয়। পাওয়ার প্লে-র প্রথম ৩ ওভারের মধ্যে যদি ২ ওভার বোলিং করেন তিনি তা হলে সুইং হবেই। দীপকের প্রতি মাহির আস্থা বরাবরের। দীপক জানান, ২০১৮ সালে কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং জানিয়েছিলেন ২-৩ ম্যাচ যাওয়ার পর তাঁকে খেলানো শুরু হোক। যা শুনে ধোনি বলেছিলেন, ‘ও তো ১৪টা ম্যাচেই খেলবে। এ ছাড়া অন্য কথা হোক।’ দীপক জানান, পরবর্তীতে তাঁকে কাশী বিশ্বনাথন এই বিষয়টি জানান। সিএসকে সিইও দীপককে বলেন, ‘২০১৮ সালে যখন টিম লেখা হত, তাঁর নাম সবার ওপরে থাকত।’ কতটা বিশ্বাস থাকলে একজন ক্রিকেটারকে ১৪টি ম্যাচেই খেলাতে বলতে পারেন কোনও অধিনায়ক? মাহি আর দীপকের সম্পর্ক তারই জ্বলন্ত উদাহরণ।