লর্ডসে ৮৩’ না এলে? বিরাট মন্তব্য ‘প্রিন্স অফ ক্রিকেট’ শুভমনের


Gill on Sachin Tendulkar : এ বার শুভমন যে ছন্দে রয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন, কিং কোহলি এবং প্রিন্স অফ ক্রিকেটের সৌজন্যে আইসিসি ট্রফির খরা কাটতেই পারে। তেমনই কে জানে, ঘরের মাঠে ওডিআই বিশ্বকাপ হয়তো সুপারস্টার হিসেবে পেল শুভমন গিলকেই!

আমেদাবাদ : প্রজন্ম। দশক কিংবা একটা যুগ। ক্রিকেটে এমন একজন আসেন, সেই দশক কিংবা যুগ তাঁর। ভারতীয় ক্রিকেটে সুনীল গাভাসকর, সচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলিরা তেমনই একটি যুগের রূপকার। যুগ পাল্টেছে, নতুন প্রজন্ম উঠে এসেছে। তাদের মধ্যে কেউ হয়ে উঠেছেন কিংবদন্তি। এই কিংবদন্তিরা যেমন নতুন প্রজন্মকে প্রেরণা জোগায়, তেমনই একেকটা বড় ট্রফি দেশের কোনায় কোনায় অনেক কিশোরকে স্বপ্ন দেখায়। তাদেরও এই খেলার প্রতি আকর্ষণ বাড়ে। এদের মধ্যে কেউ হয়তো ভারতীয় ক্রিকেটের মূল স্রোতেও উঠে আসেন। ভারতীয় ক্রিকেটে তেমনই দুটো বড় টুর্নামেন্ট ১৯৮৩ সালের ও ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ৮৩’র লর্ডসে কপিল দেবের সেই বিশ্বকাপ সহ ছবি ভারতীয় ক্রিকেটের আইকনিক ছবি। ভারতীয় ক্রিকেটে ৮৩ না এলে…! তা নিয়েই বড় মন্তব্য শুভমন গিলের। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

ক্রিকেটে যেমন প্রজন্মের কথা বলা হল, তেমনই হল বিশেষণ। লিটল মাস্টার, মাস্টার ব্লাস্টার, হিটম্যান, কিং কোহলিদের কথা বললে নতুন করে তাঁদের নাম বলার প্রয়োজন পড়ে না। শুধুমাত্র ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরাই নয়, ক্রিকেট বিশ্বও মনে করছে, বিরাট কোহলি পরবর্তী যুগ প্রিন্স অফ ক্রিকেটের। শুভমন গিল। গত বছর থেকে এ বছর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্বপ্নের উত্তরণ হয়েছে। এ বারের আইপিএলে ইতিমধ্যেই তাঁর নামের পাশে ৮৫১ রান। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যেখানে একটা অর্ধশতরান করাই কঠিন, শুভমন গিল এ বার তিনটে শতরান করেছেন। এমনকি আইপিএলের এক মরসুমে সবচেয়ে বেশি রানের নজিরও হয়তো ভেঙে দিতে পারেন। ২০১৬ সালের আইপিএলে ৯৭৩ রান করেছিলেন বিরাট। ফাইনালে আরও একটা বড় শতরান করতে পারলে শুভমন এই রান ছাপিয়ে যেতেই পারেন। অন্তত তিনি যে ফর্মে রয়েছেন, অসম্ভব নয়। আচ্ছা শুভমনের প্রেরণা কে?

সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শুভমন বলেছেন, ‘প্রতিটা জেনারেশনেই এমন প্লেয়াররা থাকেন। যেমন সচিন (তেন্ডুলকর) স্যার, বিরাট (কোহলি) ভাই, রোহিত শর্মা-ওদের প্রেরণা বর্ণনার বাইরে। আচ্ছা আমরা যদি ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ না জিততাম, তাহলে কি সচিন তেন্ডুলকরকে পেতাম? হয়তো না! তেমনই ২০১১ বিশ্বকাপ না জিতলে আমিও হয়তো প্রেরণা পেতাম না। এ ধরনের লেগাসি অমর। যা কোনও ভাষায় বর্ণনা করা যায় না।’

এ বছর ভারতের মাটিকে ওডিআই ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ২০১৩ সালের পর ভারতীয় দল কোনও আইসিসি ট্রফি জেতেনি। সামনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। গত বার রানার্স হয়েছিল ভারত। এ বার শুভমন যে ছন্দে রয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন, কিং কোহলি এবং প্রিন্স অফ ক্রিকেটের সৌজন্যে আইসিসি ট্রফির খরা কাটতেই পারে। তেমনই কে জানে, ঘরের মাঠে ওডিআই বিশ্বকাপ হয়তো সুপারস্টার হিসেবে পেল শুভমন গিলকেই!

Leave a Reply