Josh Tongue : ২৪ বছর আগে করা কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করে ৫২ লক্ষ টাকা আয়ের কাহিনি বড় একটা শোনা যায় না। এমন চমকপ্রদ ঘটনাই ঘটেছে ইংল্যান্ডে। যা রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্টে (Test) ইংল্যান্ডের (England) হয়ে অভিষেক হয়েছে এক ক্রিকেটারের। তিনি যে কখনও জাতীয় টিমে খেলতে পারেন, এমন কথা ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়েছিলেন একজন।
Image Credit source: Twitter
লন্ডন: ড্রিম ইলেভেন বা অন্যান্য অনলাইন গেমিং সাইটে নানা ম্যাচ খেলে কোটি কোটি টাকা কামানোর গল্প নতুন নয়। এমন গেমিং সাইট রাতারাতি কোটিপতি বানিয়ে দিয়েছে অনেককেই। কিন্তু ২৪ বছর আগে করা কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করে ৫২ লক্ষ টাকা আয়ের কাহিনি বড় একটা শোনা যায় না। এমন চমকপ্রদ ঘটনাই ঘটেছে ইংল্যান্ডে। যা রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে। আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্টে (Test) ইংল্যান্ডের (England) হয়ে অভিষেক হয়েছে এক ক্রিকেটারের। তিনি যে কখনও জাতীয় টিমে খেলতে পারেন, এমন কথা ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়েছিলেন একজন। বলেছিলেন, ৫২ লক্ষ টাকার বাজি ধরছেন তিনি। তাঁর সেই কথাই অক্ষরে অক্ষরে ফলে গিয়েছে। তার পর যা হতে পারত, তাই হয়েছে। বাজির টাকা জিতে নিয়েছেন সেই লোক। কার অভিষেক ম্যাচে ঘটল এমন ঘটনা? কে তাঁর পক্ষে ১৪ বছর আগে ধরেছিলেন বাজি? বিস্তারিত TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
এই ঘটনা ২০০৯ সালের। টিম পাইপর নামের এক ভদ্রলোক একটি পাব চালান। পাব মালিক পাইপারের সঙ্গে বন্ধুত্ব ফিল টংয়ের। দু’জন একসঙ্গে ক্রিকেটও খেলতেন স্থানীয় এক ক্লাবের হয়ে। কিন্তু কেউই তাঁরা খুব বেশি দূর এগোতে পারেননি। না পারলেও তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব কম ছিল না। প্রায়ই পাইপারের পাবে আসতেন ফিল। সেখানেই একদিন আশ্চর্য ঘটনা ঘটে গেল। ফিলের ছেলে একদিন টেস্ট খেলবে, এমনই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন পাইপার। শুধু তাই নয়, ১০০ ডলার বাজিও ধরেছিলেন ২৪ বছর আগে। সেই বাজির জন্যই ২৪ বছর পর ৫২ লক্ষ টাকা জিতেছেন তিনি।
যাঁর জন্য এমন আশ্চর্য বাজি জিতেছেন, সেই ক্রিকেটারের নাম জশ টং। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে লর্ডসে একমাত্র টেস্টে ইংল্যান্ড টিমে অভিষেক হয়েছে তাঁর। যদিও প্রথম ইনিংসে একটিও উইকেট পাননি টং। তবে তাঁর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলে মনে করছেন অনেকেই। যখন পাইপার বাজি ধরেছিলেন, তখন মাত্র ১১ বছর বয়স ছিল টংয়ের। ৬ বছর বয়সে উরচেস্টারশায়ারের অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন টং। ধীরে ধীরে পেসার হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন। অ্যাকাডেমির একটি ম্যাচেই টংকে দেখে পাইপারের মনে হয়েছিল, এ ছেলে অনেক দূর যাবে। তাই তাঁর বাবা ফিলের সঙ্গে বাজি ধরেছিলেন। পাইপার বলেছেন, ‘এটা একটা বিশ্বাস, যা আমার মধ্যে ১৮ বছর আগেই জন্ম নিয়েছিল। আমি যে ভুল করিনি, টং সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছে। শুধু যে বেট ধরেছিলেন তাই নয়, রীতিমতো লিখিত-পড়িতও করে নিয়েছিলেন। ৫০০-১ ছিল বাজির দর। যা এখন বিপুল টাকা দিচ্ছে পাইপারকে।
ক্রিকেট অনেক আশ্চর্য গল্প বলে। তবে জশ টংয়ের মতো গল্প এর আগে শোনা যায়নি। জশকে নিয়ে টিম পাইপার আরও কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, বাজি ধরেছেন কিনা, তা জানতে চাইছেন অনেকে।