ইতিহাস গড়ে প্রিমিয়ার লিগে এন্ট্রি লুটন টাউনের, কাণ্ডারি পেলি রুডক এমপাঞ্জু


Pelly Ruddock Mpanzu : গত কয়েক বছর কঠোর পরিশ্রম করেছেন এমপাঞ্জু। তিনি ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হবেন যে একই ক্লাবের হয়ে জাতীয় লিগ, লিগ ২, লিগ ১, চ্যাম্পিয়নশিপ এবং প্রিমিয়ার লিগে খেলবেন। পঞ্চম সারির একটা ক্লাবে খেলে প্রিমিয়ার লিগে কোনওদিন খেলার শিকে ছিঁড়বে তা ১০ বছর আগেও এমপাঞ্জু ভাবেননি।

ইতিহাস গড়ে প্রিমিয়ার লিগে এন্ট্রি লুটন টাউনের, কাণ্ডারি পেলি রুডক এমপাঞ্জু

লুটন : ভাগ্যে থাকলে সব সম্ভব। একটা পঞ্চম সারির ক্লাবকেও প্রিমিয়ার লিগে খেলতে দেখা যায়। এই গল্প লুটন টাউন ক্লাবের। ২০০৯-১০ মরসুমে এই ক্লাব জাতীয় লিগে খেলত। তিন মরসুম পর চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে প্রিমিয়ার লিগে উঠে এসেছে লুটন ক্লাব। ৩১ বছর আগে ইংল্যান্ডের প্রথম ডিভিশন ফুটবলে খেলেছিল লুটন। পরবর্তীতে জাতীয় লিগে অবনতি হয় লুটনের। ১০ বছরেরও কম সময়ে পঞ্চম সারি থেকে প্রিমিয়ার লিগে (EPL) উঠে এসেছে লুটন ক্লাব। আর এই ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হলেন পেলি রুডক এমপাঞ্জু (Pelly Ruddock Mpanzu)। দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে এমপাঞ্জু সফল হয়েছেন। আরও ভালো করে বললে দলকে সফল করেছেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।

এমপাঞ্জু ২০১৩ সালে ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেড থেকে লুটন টাউনে লোনে যোগ দেন। এরপর লুটন টাউন শুরুর দিকে এমপাঞ্জুকে ডিফেন্ডার হিসেবে খেলানো শুরু করে। কিন্তু ডিফেন্ডার পজিশনে তিনি সফল হননি। উল্টো চোট আঘাতে জর্জরিত হয়ে পড়েন। তাই পরবর্তীতে মরসুমের শেষ ৫ ম্যাচে তাঁকে মিডফিল্ডে খেলার সুযোগ দেয় লুটন টাউন। এরপর মিডফিল্ডার হিসেবে নজর কাড়েন এমপাঞ্জু। তারপর লুটন টাউন ২০১৪ সালে এমপাঞ্জুর সঙ্গে স্থায়ী চুক্তি করেন।

গত কয়েক বছর কঠোর পরিশ্রম করেছেন এমপাঞ্জু। তিনি ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হবেন যে একই ক্লাবের হয়ে জাতীয় লিগ, লিগ ২, লিগ ১, চ্যাম্পিয়নশিপ এবং প্রিমিয়ার লিগে খেলবেন। পঞ্চম সারির একটা ক্লাবে খেলে প্রিমিয়ার লিগে কোনওদিন খেলার শিকে ছিঁড়বে তা ১০ বছর আগেও এমপাঞ্জু ভাবেননি। এমপাঞ্জু যখন লুটন টাউনে যোগ দেন সেই সময় ক্লাবের ভালো ট্রেনিং গ্রাউন্ড ছিল না। তাঁরা যেখানে অনুশীলন করতেন সেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা কুকুর নিয়ে হাটঁতে বেরোতেন। শুধু মাঠ নয়, ক্লাবের আর্থিক অবস্থাও ভালো ছিল না। ধীরে ধীরে সব বদলেছে।

এমপাঞ্জু বলেন, ‘এটা শুধু আমার গল্প নয়। আমার মতো যারা স্বপ্ন দেখে তাদের সকলের গল্প। লুটন টাউন ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে আমরা ইতিহাস তৈরি করেছি। এ বার এগিয়ে যাওয়ার পালা। এমন স্মৃতি তৈরি করতে হবে যাতে আগামী দিনে আমাদের নাম প্রতিধ্বনিত হয়। আমার মনে হয় আমার কাজ শেষ হয়েছে। আমি চাইলেই এখন অবসর নিতে পারি।’ ক্লাবকে প্রিমিয়ার লিগে তুলে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি এমপাঞ্জু। ২৯ বছর বয়সী এই তারকা আরও উন্নতি করুন এমন কামনাই করছে ফুটবল মহল।

Leave a Reply