প্রতিবাদের সুর ক্রমশ গর্জে উঠছিল। এই অবস্থায় আচমকাই আন্দোলন থেকে ‘সরে’ দাঁড়ালেন সাক্ষী, বিনেশরা। উত্তর ভারত রেলওয়েতে নিজের কর্মক্ষেত্রে যোগ দিলেন সাক্ষী। বজরং, বিনেশরাও যোগ দেন নিজেদের কর্মক্ষেত্রে। তাহলে কি কুস্তিগিরদের আন্দোলন এখানেই শেষ?
Image Credit source: Twitter
নয়াদিল্লি: কুস্তিগিরদের আন্দোলন (Wrestlers Protest) থেকে সরে দাঁড়ালেন সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik), বজরং পুনিয়া, বিনেশ ফোগতরা। দিল্লিতে আন্দোলনরত কুস্তিগিরদের (Wrestlers) মধ্যে অন্যতম নেতৃত্বে ছিলেন এই তিন কুস্তিগির। রিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জেতেন সাক্ষী। বজরং পুনিয়াও টোকিও অলিম্পিকে পদক জেতেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় রেজাল্ট রয়েছে বিনেশ ফোগাতেরও। তিন কুস্তিগিরই সরে দাঁড়ালেন আন্দোলন থেকে। প্রথম দিন থেকেই আন্দোলনের প্রধান মুখ ছিলেন এই তিন কুস্তিগির। আন্দোলন ছেড়ে অফিসের কাজে যোগ দিলেন সাক্ষী, বজরংরা। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লিতে আন্দোলন চালান কুস্তিগিররা। কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন কুস্তিগিররা। এমনকি ফেডারেশনের সভাপতিকে অপসারণের দাবিও তোলেন বিনেশ ফোগত, বজরং পুনিয়ারা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতির বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনে দিল্লির যন্তর মন্তরে বিক্ষোভের সুর চড়িয়েছিলেন দেশের কুস্তিগিররা। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো হয় যে কুস্তিগিরদের আন্দোলন সরাতে আসরে নামতে হয় দিল্লি পুলিশকে। আটক করা হয় সাক্ষী, বিনেশদের। আন্দোলনের মাত্রা আরও তীব্র হয়। হরিদ্বারের গঙ্গায় পদক ভাসিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি জারি করেন দেশের কুস্তিগিররা। কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার ও অপসারণের দাবিতে আন্দোলনের মাত্রা ক্রমশ বাড়াতে থাকেন সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগতরা। অন্যান্য রাজ্য থেকেও কুস্তিগিরদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ। এ রাজ্যের ক্রীড়াবিদদের অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
প্রতিবাদের সুর ক্রমশ গর্জে উঠছিল। এই অবস্থায় আচমকাই আন্দোলন থেকে ‘সরে’ দাঁড়ালেন সাক্ষী, বিনেশরা। উত্তর ভারত রেলওয়েতে নিজের কর্মক্ষেত্রে যোগ দিলেন সাক্ষী। বজরং, বিনেশরাও যোগ দেন নিজেদের কর্মক্ষেত্রে। তাহলে কি কুস্তিগিরদের আন্দোলন এখানেই শেষ? গত শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে রাত পর্যন্ত বৈঠক করেন সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগতরা। যদিও সেই বৈঠক থেকে কোনও আশানুরূপ বার্তা পাননি কুস্তিগিররা। আন্দোলনের ভবিষ্যৎ অন্ধকার ভেবেই কি মাঝপথে সরে দাঁড়ালেন সাক্ষীরা? যাবতীয় প্রশ্নের অবসান ঘটে সাক্ষীর টুইটে।
রিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী কুস্তিগির সাক্ষী টুইটে লেখেন, ‘আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে। আন্দোলন আমরা ছাড়িনি। বিচারের জন্য আমাদের লড়াই চলতে থাকবে। আমরা কেউ পিছিয়ে আসিনি। আমাদের কেউ সরাতেও পারবে না। রেলওয়েতে নিজের কর্মক্ষেত্রে যোগ দিয়েছি। বিচার না পাওয়া আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
ये खबर बिलकुल ग़लत है। इंसाफ़ की लड़ाई में ना हम में से कोई पीछे हटा है, ना हटेगा। सत्याग्रह के साथ साथ रेलवे में अपनी ज़िम्मेदारी को साथ निभा रही हूँ। इंसाफ़ मिलने तक हमारी लड़ाई जारी है। कृपया कोई ग़लत खबर ना चलाई जाए। pic.twitter.com/FWYhnqlinC
— Sakshee Malikkh (@SakshiMalik) June 5, 2023