অমানবিক! ফরাসি ওপেন থেকে বের করে দেওয়া হল দুই প্লেয়ারকে


খেলা শেখায় মানুষ হতে। মাঠ ও মাঠের বাইরে মানবিক হতে শেখায় খেলা। কিন্তু কেউ কেউ নিয়মের বাইরে হন। যা বেশ অবাক করে খেলার দুনিয়াকে। এমনই এক ঘটনা ঘটল ফরাসি ওপেনে (French Open)। যা বেশ অবাক করার মতো।

অমানবিক! ফরাসি ওপেন থেকে বের করে দেওয়া হল দুই প্লেয়ারকে

Image Credit source: Twitter

প্যারিস: খেলা মানসিক গড়নের কাজ করে। খেলা শেখায় মানুষ হতে। মাঠ ও মাঠের বাইরে মানবিক হতে শেখায় খেলা। কিন্তু কেউ কেউ নিয়মের বাইরে হন। যা বেশ অবাক করে খেলার দুনিয়াকে। এমনই এক ঘটনা ঘটল ফরাসি ওপেনে (French Open)। যা বেশ অবাক করার মতো। জাপানি-ইন্দোনেশিয়ান জুটি খেলছিল মেয়েদের ডাবলসে (Women’s Doubles)। একটি ঘটনার জেরে সাময়িক বন্ধ হয়ে যায় খেলা। সেই খেলা চালু করার আর প্রয়োজন বোধ করলেন না আম্পায়ার। জাপানি-ইন্দোনেশিয়ান জুটিকে বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ম্যাচের পরিচালক। আম্পায়ারের এই ডিসকোয়ালিফাই করে দেওয়ার ঘটনা বেশ চমকে দিয়েছে টেনিস দুনিয়াকে। এমনকি, খেলার দুনিয়াতেই হইচই পড়ে গিয়েছে। দুই মেয়ে টেনিস প্লেয়ার এমন অমানবিক হলেন কী করে? এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে টেনিস ভক্তরা। বিস্তারিত TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।

ঘটনা ঘটে মেয়েদের ডাবলসের একটি ম্যাচে। মারিয়া বুজ়োকাভা-সারা সরিবেসের বিরুদ্ধে খেলছিলেন মিয়ু কাতো ও আলদিলা সুতজিয়াদি। প্রথম সেটটা তাঁরা হেরেছিলেন ৬-৭। কিন্তু দ্বিতীয় সেটে ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করছিলেন। ৩-১ এগিয়ে থাকা অবস্থাতেই হঠাৎই ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। কাতোর একটা ক্রস-কোর্ট শট গিয়ে সরাসরি লাগে বল গার্লের গায়ে। টেনিসে এমন ঘটনা ঘটলে তার পুরো দায় নিতে হয় ওই প্লেয়ারকে। কাতোর শট কাঁধে ও মুখে লাগে। প্রবল চোট পায় ওই কিশোরী। কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। খেলা থামিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার পর আম্পায়ার আলেকজান্দার জাগ প্রথমে সতর্ক করেছিলেন কাতোকে। কিন্তু প্রতিপক্ষ দুই প্লেয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ জানান। তারই ভিত্তিতে ডিসকোয়ালিফাই করে দেওয়া হয় কাতো ও আলদিলাকে। ওই ঘটনার জেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন কাতো।

টেনিস এই ঘটনা নতুন নয়। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে নোভাক জকোভিচকে ডিসকোয়ালিফাই করা হয়েছিল, তাঁর শট মহিলা লাইন জাজ লরা ক্লার্কের গায়ে লাগে। ম্যাচের আম্পায়ার বলেছেন, ‘যদি কোনও প্লেয়ারের শট কারও গায়ে গিয়ে লাগে এবং আহত হয়ে যায়, ইচ্ছাকৃত হোক আর না হোক, দায় তাকেই নিতে হবে। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।’ ১৯৯৫ সালে গ্রেট ব্রিটেনের এক নম্বর টেনিস প্লেয়ার টিম হেনম্যানও একই কারণে উইম্বলডন থেকে ডিসকোয়ালিফাই হয়ে গিয়েছিলেন।

তাতেও যে বিতর্ক কমছে, তা নয়। বুজ়োকোভা ব্যাখ্যা করেছেন, কেন তাঁরা প্রতিবাদ করেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘বাচ্চা মেয়েটা যন্ত্রণায় ১৫ মিনিট ঘরে কাঁদছিল। আম্পায়ার প্রথমে ব্যাপারটা ভালো করে খেয়াল করেননি, যে কারণে তিনি শুধু সতর্ক করে ছেড়ে দিয়েছিলেন। মেয়েটাকে কাঁদতে দেখে আমরা আম্পায়ারকে গিয়ে বলি, ব্যাপারটা আরও ভালো করে খেয়াল করতে। আম্পায়ার তখন ভালো করে খতিয়ে দেখে ডিসকোয়ালিফাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Leave a Reply