ধোনি জানিয়েছেন ক্রিকেট ও চাষবাসের মধ্যে তুলনা। এছাড়া তাঁর ৪০ একরের বিশাল জমিতে কোন ফল সবচেয়ে বেশি ফলে সেটাও জানিয়েছেন ক্যাপ্টেন কুল।
Image Credit source: Twitter
রাঁচি: আইপিএল শেষ। চেন্নাই সুপার কিংসকে পঞ্চম বারের জন্য আইপিএল (IPL 2023) চ্যাম্পিয়ন করেছেন। ফাইনালের পর হাঁটুর সার্জারিও সফল। এ বার ধোনির কাছে অঢেল সময়। সুস্থ হয়ে ফিরবেন তাঁর সবুজ বাগানে। কোনটা বেশি কঠিন, ক্রিকেট নাকি কৃষকের কাজ? সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে চাষবাস সম্পর্কে বিস্তারিত শোনা গিয়েছে ধোনির (MS Dhoni) মুখে। ধোনি বর্তমানে একটি ট্র্যাক্টর কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়েছেন। তারই প্রচারে ধোনি জানিয়েছেন ক্রিকেট ও চাষবাসের মধ্যে তুলনা। এছাড়া তাঁর ৪০ একরের বিশাল জমিতে কোন ফল সবচেয়ে বেশি ফলে সেটাও জানিয়েছেন ক্যাপ্টেন কুল। কোভিডের বাড়বাড়ন্তের সময় চাষবাসের দিকে ঝোঁকেন রাঁচির রাজপুত্র। গাছ লাগানো, চাষের জন্য ট্র্যাক্টর চালিয়ে ক্ষেত চষতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনি যেখানে হাত দেন সেটাই যেন সোনা। ফার্মিংয়েও বেশ সাফল্য পেয়েছেন তিনি। বিস্তারিত TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
সাক্ষাৎকারে মাহি বলেছেন, “আমি রাঁচি মতো ছোট শহরের মানুষ। ছেলেবেলা থেকেই আমরা এর সঙ্গে যুক্ত (চাষবাস)। আমার কাছে এটা কোনও নতুন কিছু নয়। আমাদের ৪০ একর জমি ছিল। কোভিড -১৯ এর আগেই চাষবাস শুরু করেছিলাম। মাঠে কাজ করছি। এর আগে মাত্র চার থেকে পাঁচ একর জমিতে কাজ করতাম। কিন্তু যখন কোভিড-১৯ এল এবং লকডাউনের কারণে প্রচুর সময় পেতাম। তারপরই পুরো ৪০ একর জমিতে কাজ শুরু করি।” ধোনির বাগানে কোন ফলের ফলন সবচেয়ে বেশি? তিনি বলেছেন, “লোকের বিশ্বাস, আপনি যখনই চাষবাস শুরু করবেন প্রথমেই তরমুজ লাগাতে হবে। কারণ এটাই শুভ। তরমুজ খুব তাড়াতাড়ি ফলে। এরপর আমরা পেঁপে এবং অন্যান্য অনেক ফলের গাছ লাগিয়েছি। যার মধ্যে রয়েছে আপেল, ড্রাগন ফল, হলুদ এবং আদা। যেখানে যেখানে রাস্তা করেছি, তার দুপাশে আমগাছ লাগিয়েছি।
কৃষিকাজ নাকি ক্রিকেট- কোন কাজ বেশি কঠিন?
ধোনি বলেন, “চাষবাসেও ওঠা নামা আছে। আপনি সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু শিখতে পারেন। আবার ভুল থেকে শিক্ষা নেন। আমার এ পর্যন্ত যাত্রাটা দারুণ। তবে চাষবাসে বেশি সময় দিতে পারিনি। জীবনে সবকিছুই কঠিন। যেমন ক্রিকেট এবং কৃষিকাজ দুটোই কঠিন কাজ। ক্রিকেটে যদি আপনি দেশকে নেতৃত্ব দেন তখন নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে হয়। চাষবাসেও সবসময় পরিস্থিতি আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকে না। আবার অনেক সময়ই থাকে।”