আউট হওয়ার পর খাবারের প্লেট হাতে খোশগল্প, বিরাটের উপর চটে লাল সমর্থকরা!


WTC Final 2023 : বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি অস্বস্তিতে পড়েন মিচেল স্টার্কের বাড়তি বাউন্সে। কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন বিরাট।

Image Credit source: Twitter

লন্ডন: তাঁর উপর ভারতীয় সমর্থকদের ছিল অগাধ প্রত্যাশা। বোলারদের ব্যর্থতায় অস্ট্রেলিয়া সাড়ে চারশোর উপরে বিশাল স্কোর খাড়া করলেও ভারতীয় সমর্থকদের ভরসা ছিল, কোহলি (Virat Kohli) আছেন। সেই প্রত্যাশায় জল ঢেলে দেন মিচেল স্টার্ক। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (WTC Final 2023) মঞ্চে, অস্ট্রেলিয়ার পাহাড় প্রমাণ রানের সামনে কোহলির খাতায় ২০ রানও উঠল না। ভারতের টপ অর্ডার ব্যর্থ। রোহিত শর্মা, শুভমন গিল ও চেতেশ্বর পূজারার উইকেট দ্রুত হারানোর পর যাবতীয় ফোকাস ছিল বিরাটের উপর। ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিন দেশের অন্যতম তারকা ব্যাটার ভরসা দিতে পারলেন কই। ১৯তম ওভারে মিচেল স্টার্কের ডেলিভারিতে বিরাটের ক্যাচ নেন স্টিভ স্মিথ। মাত্র ১৪ রানেই সমাপ্তি। আউটের পর বিরাটের চোখ মুখ বলে দিচ্ছিল, কতটা হতাশ তিনি। প্রিয় ক্রিকেটার দ্রুত ফেরায় হতাশ ছিলেন সমর্থকরা। টিভির পর্দায় দেখা যায় আউটের পর খেতে খেতে খোশগল্প করছেন বিরাট। এতেই রেগে খাপ্পা নেটিজেনরা। বিস্তারিত রইল Tv9 Bangla Sportsর এই প্রতিবেদনে।

তখন ৮৪ রানে ৪টে উইকেট খুইয়ে ফেলেছে ভারত। ক্রিজে লড়ছেন অজিঙ্ক রাহানে ও রবীন্দ্র জাডেজা। এমন সময় টিভি ক্যামেরা ঘুরে যায় ড্রেসিংরুমের দিকে। দেখা যায়, প্লেট হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাচ্ছেন বিরাট। তাঁকে ঘিরে ঈশান কিষাণ, শুভমন গিল এবং ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌর। খাওয়ার পাশাপাশি গল্প করছিলেন ঈশান, শুভমনদের সঙ্গে গল্প করছিলেন বিরাট। এই দৃশ্য কট্টর ভারতীয় সমর্থকদের মনে ‘ঝড়’ তুলে দিয়েছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের মতো মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বিরাট কোহলির থেকে যে পর্যায়ের ফোকাস এবং ইন্টেনসিটি দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন সমর্থকরা তার ছিঁটেফোটাও মেলেনি। তাই আউট হওয়ার পরই বিরাটের উদরপূর্তি ও খোশগল্প দেখে রেগে কাঁই সমর্থকরা।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ধুঁকছে ভারত। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫১ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে দল। টপ অর্ডার মুখ থুবড়ে পড়েছে। এখনও পিছিয়ে ৩১৮ রানে। ওভালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের সবে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হয়েছে। তবে এখন থেকেই ভারতের সঙ্গে কাপের দূরত্ব বেড়েছে। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো মিরাকল ছাড়া কিছু নয়।



Leave a Reply