Sachin Tendulkar Net Worth : ধোনি-কোহলির মতো একাধিক ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁরা ক্রিকেটের পাশাপাশি ব্যবসায় নিজেদের ভাগ্যপরীক্ষা করেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরও (Sachin Tendulkar)। দেখতে দেখতে সচিনের ব্যবসা ছড়িয়েছে ভারত থেকে আমিরশাহিতে।
Image Credit source: Twitter
নয়াদিল্লি : সারা বিশ্বে এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের রমরমা। যত দিন যাচ্ছে ক্রিকেটের সঙ্গে তত বেশি অর্থ যুক্ত হচ্ছে। যদি ২৫ বছর পিছিয়ে যাওয়া যায় তা হলে দেখা যাবে ওই সময় ক্রিকেটের ছবিটা এমন ছিল না। এখনকার ক্রিকেটাররা কোটি কোটি অর্থ উপার্জন করেন। আর অতীতে ক্রিকেটাররা সেই অর্থে বেতন পর্যন্ত পেতেন না। যে কোনও ক্রিকেটারের কেরিয়ার নির্ভর করে তাঁদের ফর্ম ও ফিটনেসের উপর। ২২ গজে ক্রিকেটাররা যখন চার-ছক্কা মারেন তখন সকলে তা উপভোগ করেন। কিন্তু একবার ২২ গজ থেকে তাঁরা দূরে চলে গেলে তাঁদের অনেককেই ভুলতে শুরু করে ক্রিকেট প্রেমীরা। বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রিকেটারদের তালিকায় ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি রয়েছেন। ধোনি-কোহলির মতো একাধিক ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁরা ক্রিকেটের পাশাপাশি ব্যবসায় নিজেদের ভাগ্যপরীক্ষা করেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরও (Sachin Tendulkar)। দেখতে দেখতে সচিনের ব্যবসা ছড়িয়েছে ভারত থেকে আমিরশাহিতে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
সচিন তেন্ডুলকরের সম্পত্তি —
বর্তমানে ক্রিকেটাররা ভালো বেতন পাওয়ার পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলে এবং বিজ্ঞাপন থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। মাস্টার ব্লাস্টার ২২ গজে যতটা সফল ছিলেন ঠিক ততটাই সফল ব্যবসাতেও। ১০ বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন সচিন। মাস্টার ব্লাস্টার এখনও অবধি ১০টিরও বেশি ব্যবসা করার চেষ্টা করেছেন। বর্তমান তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১২৫০ কোটিরও বেশি।
২০০২ সালে সচিন প্রথম ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে পা রাখেন। তিনি হোটেল চেইন মালিক সঞ্জয় নারাং-এর সঙ্গে যৌথভাবে মুম্বইতে তাঁর প্রথম রেস্তোরাঁ ‘তেন্ডুলকরস’ শুরু করেন। এর পরে তিনি মুম্বইতে সচিনস নামে আরও একটি রেস্তোরাঁ চালু করেন। কিন্তু ২০০৭ সাল নাগাদ তা বন্ধ হয়ে যায়।
সচিনের ব্যবসা শুধু ভারতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে একটি ট্রাভেল কোম্পানি ‘মুসাফির’ এ বিনিয়োগ করেছিলেন। ওই কোম্পানিয়ে ৭.৫ শতাংশ শেয়ার ছিল। সচিন ওই কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও ছিল। পরবর্তীতে সচিন এই কোম্পানি থেকে নিজেকে আলাদা করে নেন। জানা গিয়েছে মুসাফির কোম্পানির সঙ্গে প্রায় ৩০ কোটি টাকার চুক্তি করেছিলেন সচিন।
এ ছাড়াও সচিন ক্রীড়া বিনোদন জগতে প্রবেশ করেছেন ২০০৯ সালে। ওই কোম্পানির নাম স্ম্যাশ এন্টারটেইনমেন্ট। সচিন এই কোম্পানির সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার হিসেবে যুক্ত। এটি একটি প্রযুক্তিভিত্তিক ক্রীড়া পরিষেবা সংস্থা। যা ক্রিকেট, ফুটবল, রেসিং এবং অন্যান্য খেলার সঙ্গে সম্পর্কিত পরিষেবা প্রদান করে। এটি শুরু করেছিলেন শ্রীপাল মোরাখিয়া, যিনি শেয়ারখানের সঙ্গেও যুক্ত।
প্রযুক্তি কোম্পানি স্মার্টন-এর অন্যতম প্রধান বিনিয়োগকারী হলেন সচিন। এই কোম্পানি স্মার্ট ফোন-সহ অনেক ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট তৈরি করে। ট্রু ব্লু নামে একটি ফ্যাশন কোম্পানিতেও বিনিয়োগ করেছেন সচিন। এটি সচিন এবং অরবিন্দ ফ্যাশন ব্র্যান্ডের যৌথ উদ্যোগ। এই সংস্থাটি ২০১৬ সালে শুরু হয়েছিল। তাতে সচিনের ছেলে অর্জুনও তাঁকে সাহায্য করেন।
২০১১ সালে, ফিউচার গ্রুপের বিগ বাজার সচিন তেন্ডুলকরের নাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘সাচ’ নামে পার্সোনাল কেয়ারের পণ্যগুলির একটি পরিসর চালু করেছিল। সচিনও এই পণ্যে বিনিয়োগ করেছিলেন। এ ছাড়া তিনি আইএসএলে কেরালা ব্লাস্টার্স, ব্যাডমিন্টন প্রিমিয়ার লিগে বেঙ্গালুরু ব্লাস্টার্স এবং কাবাডিতে মাস্টার ব্লাস্টার্স ম্যাজিকের সহ-মালিক। ২০১৮ সালে তিনি আইএসএলে তাঁর অংশীদারিত্ব বিক্রি করেছিলেন। একটি গেমিং কোম্পানিতেও তিনি বিনিয়োগ করেছেন। একটি গাড়ি কোম্পানিতেও তাঁর বিনিয়োগ রয়েছে। ২০১৬ সালে সচিন SRT স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি শুরু করেন। তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি এই সংস্থাটি পরিচালনা করেন।