Ashes Series, ENG vs AUS: অ্যাসেজের প্রথম ম্যাচে অবশ্য তিনি কোনও দায়িত্ব পাননি। তবে মনে করা হচ্ছে, তৃতীয় টেস্টটি পরিচালনার দায়িত্ব পেতে পারেন নীতীন। বিদেশে ম্যাচ পরিচালনা তুলনামূলক কম চাপের, এমনটাই মত নীতীনের।
Image Credit source: twitter
নয়াদিল্লি: ভারতের এক মাত্র আম্পায়ার হিসেবে আইসিসি এলিট প্যানেলে রয়েছেন নীতীন মেনন। ২০২০ সালে এলিট প্যানেলে অন্তর্ভূক্ত করা তাঁকে। যদিও বেশির ভাগ ম্যাচই পরিচালনা করেছেন দেশের মাটিতে। কোভিডের জেরে নিরপেক্ষ আম্পায়ার দিয়ে ম্যাচ করানো স্থগিত রেখেছিল আইসিসি। তার কারণ, ভ্রমণ সংক্রান্ত নানা নিষেধাজ্ঞা। এখন অবশ্য সেই সমস্যা নেই। ইংল্যান্ডে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে নিরপেক্ষ আম্পায়ারই ছিলেন। শুরু হয়েছে বহু প্রতিক্ষীত অ্যাসেজ সিরিজ। সেখানেও নিরপেক্ষ আম্পায়ার। অবশেষে অ্যাসেজে অভিষেক হতে চলেছে ভারতীয় আম্পায়ার নীতীন মেননের। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যায় ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে। আম্পায়াররা প্রবল চাপের মধ্যে থাকেন। কতটা প্রস্তুত ভারতের তরুণ আম্পায়ার! বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ঘরোয়া ক্রিকেট, আইপিএল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিজ্ঞ নীতীন মেনন। আরব আমিরশাহি এবং অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করেছেন। গত বছর ইংল্যান্ডেও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ পরিচালনা করেছেন। এলিট প্যানেলের এই আম্পায়ার ১৫ টেস্ট, ২৪টি ওডিআই এবং ২০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি পরিচালনা করেছেন। তবে অ্যাসেজ অন্য দ্বিপাক্ষিক সিরিজের তুলনায় আলাদা। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক সাক্ষাৎকারে নীতীন মেনন বলেন, ‘প্রথম দু-বছর মূলত উপমহাদেশে আম্পায়ারিং করেছি। দারুণ অভিজ্ঞতা। টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করার পাশাপাশি দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও করেছি। সেরা ও অভিজ্ঞ আম্পায়ার এবং প্লেয়ারদের ম্যাচ পরিচালনা করার সুযোগ পেয়েছি। চাপের মুখে কী করা উচিত, এমন অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেক ইতিবাচক দিকই রয়েছে।’
অ্যাসেজের প্রথম ম্যাচে অবশ্য তিনি কোনও দায়িত্ব পাননি। তবে মনে করা হচ্ছে, তৃতীয় টেস্টটি পরিচালনার দায়িত্ব পেতে পারেন নীতীন। বিদেশে ম্যাচ পরিচালনা তুলনামূলক কম চাপের, এমনটাই মত নীতীনের। অ্যাসেজ অভিষেকের আগে নীতীন আরও বলছেন, ‘দেশের মাটিতে ভারতের ম্যাচ থাকলে প্রচুর হাইপ থাকে। বিশ্ব ক্রিকেটের তারকারা থাকেন। ভারতীয় দল সবসময়ই চাপে রাখার চেষ্টা করে। ৫০-৫০ সিদ্ধান্ত নিজেদের পক্ষে নেওয়ার জন্য আবেদন করে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা, ফোকাস ঠিক রাখা খুবই প্রয়োজন।’ ভারতের তারকা ক্রিকেটারদের সামলানোর অভিজ্ঞতাই অ্যাসেজের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।