‘আগে দলে সবাই বন্ধু ছিল, এখন ওরা সতীর্থ’, অপ্রিয় সত্য সামনে আনলেন অশ্বিন


‘কেউ তোমার সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে না। এই যাত্রাটা একেবারেই নিজের।’ জাতীয় দলের অন্দরের পরিবেশ নিয়ে অকপট রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

Image Credit source: Twitter

কলকাতা: বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট বোলার হয়েও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC Final 2023) ফাইনালে বোবা দর্শক হয়ে কাটাতে হয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে ওভালে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া WTC ফাইনালের একাদশে ছিলেন না অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। মাঠে অশ্বিনের প্রয়োজনীয়তা হাড়ে হাড়ে অনুভব করেছেন রোহিত শর্মারা। অভিজ্ঞ স্পিনারের অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০৯ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে টিম ইন্ডিয়া। সাধারণত কর্মক্ষেত্রে জগতে নিজেকে কোণঠাসা মনে হলে সাধারণত মানুষ পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের পরামর্শ নিতে পছন্দ করেন। এছাড়া নিজের প্রফেশনের সঙ্গে যুক্ত লোকজনের সমর্থনও প্রয়োজন হয়। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল থেকে অশ্বিনকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত কি দলের সবাই ভালো মনে স্বীকার করেছিলেন, নাকি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কেউ অশ্বিনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন? এই প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় দল নিয়ে অপ্রিয় সত্য ফাঁস করেছেন বিশ্বের পয়লা নম্বর টেস্ট বোলার। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অশ্বিন জানিয়েছেন, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল থেকে তাঁকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের উপর আলোচনাটা অত্যন্ত গভীর বিষয়। এমন একটা বিষয় নিয়ে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা যায়। কিন্তু কলিগদের সঙ্গে মোটেও নয়। কারণ ভারতীয় দলের সাজঘরে এখন আর বন্ধুত্বের কোনও জায়গা নেই। এখানে সকলেই একে অপরের সতীর্থ, বন্ধু নয়। তিনি বলেছেন, “আমরা এমন একটা যুগে (ভারতীয় ক্রিকেট) রয়েছি যেখানে সবাই আমার কলিগ। একটা সময় ছিল যখন সব টিমমেটরাই ছিলেন বন্ধু। এখন তাঁরা শুধুই সতীর্থ। এখানে আপনার ডান অথবা বাঁ দিকের মানুষটি নিজেকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখতে পছন্দ করেন। তাই এসব নিয়ে আলোচনার কারও সময় নেই।”

অশ্বিনের মতে, “বাদ পড়া নিয়ে আলোচনার থেকে থেকে ক্রিকেটের টেকনিক এবং জার্নি নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন। ক্রিকেটাররা নিজেদের টেকনিক বা জার্নি ভাগ করে নিলে সেটা ক্রিকেটের জন্য মঙ্গলের। যদিও এর ছিঁটেফোটাও হয় না। কেউ তোমার সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে না। এই যাত্রাটা একেবারেই নিজের। প্রয়োজন পড়লে আমরা কোচ বা পেশাদার মানুষের কাছে যাই, অর্থের বিনিময়ে সাহায্য নিই। আসলে আমরা মাঝে মাঝে ভুলে যাই যে ক্রিকেট কেউ শিখিয়ে দিতে পারে না। এটা নিজের দক্ষতার উপর নির্ভর করে।”

Leave a Reply