মোহনবাগানে সই করেই অনিরুদ্ধ থাপার মুখে ডার্বি কথা


Mohun Bagan Super Giant: সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে খেলার পাশাপাশি অ্যাটাকিং থার্ডেও বেশ সপ্রতিভ অনিরুদ্ধ। জাতীয় দলের জার্সিতে বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় খেলে নিজেকে মেলে ধরেন।

Image Credit source: twitter

অবশেষে এল সরকারি ঘোষণা। অনিরুদ্ধ থাপাকে ৫ বছরের চুক্তিতে সই করাল মোহনবাগান। দেশের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারকে এ বার দেখা যাবে সবুজ-মেরুন জার্সিতে। বিরাট অঙ্কের ট্রান্সফার ফি-দিয়ে চেন্নায়িন এফসি থেকে অনিরুদ্ধকে দলে নিল মোহনবাগান। কয়েকদিন আগেই চুক্তি পাকা করে ফেলে সবুজ-মেরুন টিম ম্যানেজমেন্ট। বাকি ছিল সরকারি ঘোষণার। TV9Bangla Sports-এও বেশ কয়েকদিন আগে সেই খবর প্রকাশিত হয়েছিল। বিস্তারিত জানুন এই প্রতিবেদনে।

অনিরুদ্ধ থাপাকে দলে নিয়ে মাঝমাঠের শক্তি কয়েকগুণ বাড়াল মোহনবাগান। ২৫ বছরের এই মিডিও গত পাঁচ বছর খেলেছেন চেন্নায়িন এফসিতে। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে খেলার পাশাপাশি অ্যাটাকিং থার্ডেও বেশ সপ্রতিভ অনিরুদ্ধ। জাতীয় দলের জার্সিতে বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় খেলে নিজেকে মেলে ধরেন। এরপর সিনিয়র দলেও অপরিহার্য্য হয়ে ওঠেন তিনি। জাতীয় দলের ৪৫টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন এরই মধ্যে। দেশের হয়ে চারটি গোলও আছে অনিরুদ্ধ থাপার ঝুলিতে। দেশের হাইপ্রোফাইল মিডফিল্ডারকে ৫ বছরের চুক্তিতে সই করাল সবুজ-মেরুন।

মোহনবাগানে সইয়ের পর অনিরুদ্ধ থাপা বলেন, ‘সবুজ-মেরুনে সই করতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। ভারতীয় ফুটবলে মোহনবাগান জার্সির ঐতিহ্য আর প্রভাব অপরিসীম। সেই জার্সি পরে মাঠে নামব। এটা ভেবেই রোমাঞ্চিত। মাঠে নিজের সেরাটা উজাড় করে দিয়ে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই।’

একই সঙ্গে ভারতীয় দলের মিডফিল্ডার বলেন, ‘ভারতীয় ফুটবলের মক্কা কলকাতা। সেখানে খেলার স্বপ্ন এ বার পূরণ হবে। ছেলেবেলায় পৈলান অ্যারোজে খেলার সময়ই ডার্বির কথা শুনেছি। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এসে ডার্বিও দেখেছি অনেকবার। হাজার হাজার সমর্থকদের সামনে ডার্বি খেলতে মুখিয়ে রয়েছি। নিজের সেরাটা ধরে রাখতেও তৎপর। দেশ-বিদেশের সেরা ফুটবলারদের সই করাচ্ছে মোহনবাগান। তাই প্রত্যাশা আরও বেড়ে গিয়েছে। এএফসি কাপেও ভালো ফলের আশায় আছি আমরা।’

কোচ হুয়ান ফেরান্দো প্রসঙ্গে অনিরুদ্ধ বলেন, ‘কোচের খেলার স্টাইল সম্পর্কে আমি জানি। আক্রমণাত্মক ফুটবলই পছন্দ করেন। বল ধরে সবসময় খেলতে বলেন। দলের বেশিরভাগ ফুটবলারই ফেরান্দোর স্টাইল সম্পর্কে অবগত। আমাকেও সেটা রপ্ত করতে হবে। কোচের স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজের জায়গা পাকা করতে চাই। আশাবাদী, স্বপ্নের জার্সিতে খেলতে নেমে আমি সাফল্য পাবই।’

Leave a Reply