World Cup Venue : ২৭ জুন ওডিআই বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশিত হতেই দেখা গিয়েছে, মোহালি, ইন্দোর বা তিরুবনন্তপুরম একটিও ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পায়নি ।
Image Credit source: Twitter
কলকাতা: মোট ১০টি ভেনুতে ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। আমেদাবাদ, কলকাতা, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, লখনউ, দিল্লি, ধরমশালা, হায়দরাবাদ ও পুনে – এই শহরগুলির ভাগ্যের শিকে ছিঁড়েছে। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ও মেগা ফাইনাল ম্যাচ। সেমিফাইনালের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ওয়াংখেড়ে ও ইডেন গার্ডেন্স। সম্ভাব্য ভেনু হিসেবে নাম উঠে এসেছিল মোহালির পঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মাঠ, নাগপুর, ইন্দোর স্টেডিয়ামেরও। কিন্তু ২৭ জুন বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশিত হতেই দেখা গেল, ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের একটিও ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পায়নি মোহালি, ইন্দোর বা তিরুবনন্তপুরম। অথচ স্টেডিয়ামগুলি নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করে আসছে। সূচি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে বিসিসিআইয়ের উপর চরম ক্ষু্ব্ধ ‘বঞ্চিত’ রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলি। কেউ আবার এর পিছনে রাজনীতির ছায়া দেখছেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports–র এই প্রতিবেদনে।
প্রথমেই আসা যাক মোহালি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কথায়। এই স্টেডিয়াম অতীতে দুটি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ আয়োজন করেছে। এ বার সেমিফাইনাল তো দূর, লিগ পর্বের ম্যাচও জোটেনি মোহালির। যা নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পঞ্জাবের ক্রীড়ামন্ত্রী গুরমীত সিং হেয়র। তাঁর অভিযোগ, এর পিছনে রাজনীতি রয়েছে। ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেছেন, “দেশে বিশ্বকাপ আয়োজন হচ্ছে এটা খুবই ভালো কথা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, যে মাঠ থেকে ভারতীয় দল তারকা ক্রিকেটারদের পেয়েছে, দেশের শীর্ষ স্টেডিয়ামগুলির মধ্যে থাকা মোহালি বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পায়নি। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম ওপেনিং ম্যাচের পাশাপাশি ফাইনাল ম্যাচও আয়োজন করবে। এছাড়া ভারত-পাকিস্তান ম্যাচও খেলা হবে আমেদাবাদে। শুধু তাই নয়। মোহালির পাশেই রয়েছে ধরমশালা স্টেডিয়াম। যেখানে বিশ্বকাপের ৫টি ম্যাচ খেলা হবে। অথচ মোহালিকে একটিও ম্যাচ দেওয়া হল না। কেন এমনটা হল? বোঝাই যাচ্ছে যে এর পিছনে রাজনীতি কাজ করছে।”
নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করে আসছে ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়াম। কিন্তু বিশ্বকাপে তাদের প্রাপ্তি শূন্য। মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অভিলাষ খান্ডেকর হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, “ইন্দোরে ১৯৮৭ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। এ বার সুযোগ না পাওয়ায় আমরা হতাশ। আমরা ভেবেছিলাম ইন্দোরকে ম্যাচ দেওয়া হবে। জানি না, বিসিসিআইয়ের এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে?”
ভেনু নিয়ে তোপ দেগেছেন তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরও। টুইট করে থারুর লেখেন, “ভারতের অন্যতম সেরা ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসেবে ধরা হয় তিরুবনন্তপুরমকে। অথচ ২০২৩ বিশ্বকাপে একটিও ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পায়নি। আমেদাবাদ এখন দেশের ক্রিকেট রাজধানী হয়ে গিয়েছে। একটা বা দুটো ম্যাচ কি কেরলকে দেওয়া যেত না?