‘২০১১-র বিশ্বকাপে যুবরাজ যা করেছিল, এ বার তা করবে জাডেজা’, আশাবাদী প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার


এক যুগ আগে বিশ্বকাপের মঞ্চে ব্যাটে-বলে বাজিমাত করেছিলেন যুবরাজ সিং। এ বার কি ভারতীয় দলের জয়ে যুবির মতো ভূমিকা পালন করতে পারবেন রবীন্দ্র জাডেজা?

‘২০১১-র বিশ্বকাপে যুবরাজ যা করেছিল, এ বার তা করবে জাডেজা’, আশাবাদী প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার

নয়াদিল্লি : এ বারের বিশ্বকাপের (Cricket World Cup 2023) সূচি প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। আইসিসির মেগা ইভেন্ট শুরু হতে এখনও সাড়ে তিন মাস বাকি। তারপরও বিশ্বকাপ নিয়ে এখন থেকেই হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। দীর্ঘদিন ভারতের ঝুলিতে আইসিসির ট্রফি আসেনি। ফলে এ বার আয়োজক হিসেবে যেমন বড় দায়িত্ব রয়েছে ভারতের, তেমনই দেশকে আইসিসি ট্রফি এনে দেওয়ার গুরুদায়িত্বও রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটারদের। ২০১১ সালে শেষ বার ওডিআই বিশ্বকাপ এসেছিল ভারতীয় শিবিরে। তারপর থেকে বেড়েছে আইসিসি ট্রফির প্রতীক্ষা। ২০১১ সালে টিম ইন্ডিয়ার বিশ্বকাপ জয়ের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং (Yuvraj Singh)। ভারতের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত মনে করেন, এ বার ভারতীয় দলে সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেন রবীন্দ্র জাডেজা (Ravindra Jadeja)। আর কী বললেন ৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।

এক যুগ আগে বিশ্বকাপের মঞ্চে ব্যাটে-বলে বাজিমাত করেছিলেন যুবরাজ সিং। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং ৩৬২ রান করেছিলেন এবং ১৫টি উইকেট নিয়েছিলেন। এবং প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরষ্কার পেয়েছিলেন যুবি। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তের মতে, ২০১১ সালের বিশ্বকাপে যুবরাজ ভারতীয় দলের হয়ে যে ভূমিকা পালন করেছিলেন, এ বার সেটা করতে পারেন রবীন্দ্র জাডেজা। তিনি বলেন, ‘২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনি দারুণভাবে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সে বার যুবরাজ সিং দারুণ পারফর্ম করেছিল। আমার মনে হয়, ২০১১ সালে যুবরাজ যেমন পারফর্ম করেছিলেন এ বার তেমনটা করে দেখাবে রবীন্দ্র জাডেজা। আমার বিশ্বাস জাডেজা, অক্ষর প্যাটেল এ বারের বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’

কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তের মতে যে তিনটি দল এ বারের বিশ্বকাপে ফেভারিট, সেগুলি হল – ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। একইসঙ্গে তাঁর মতে, ‘ভারতীয় পরিবেশে বেশ কয়েকটি উইকেটে ভালো স্পিন হবে। অস্ট্রেলিয়ার মতো এখানকার উইকেটে অত বেশি অতিরিক্ত বাউন্স থাকবে না। ইংল্যান্ডের মতো এখানে বল অত্যধিক সুইংও করবে না। আর এই বিষয়টাই আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতের কাছে অন্যতম বড় অ্যাডভান্টেজ হতে চলেছে।’

Leave a Reply