Sunil Chettri : মা-বাবার বিরুদ্ধে গিয়ে স্কুল বদলে ফেলেছিলেন সুনীল! কেন?


কম বয়স থেকেই নিজেকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস ছিল সুনীল ছেত্রীর। সেইসব সিদ্ধান্তের জন্য আফসোস হয় না তাঁর।

Image Credit source: Twitter

কলকাতা : আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৯২টি গোল! সেঞ্চুরির ধাপ পেরোতে হলে আরও আটটি গোল চাই। যে ফর্মে রয়েছেন তাতে সুনীল ছেত্রীর ‘সেঞ্চুরি’ দেখার জন্য বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে সর্বাধিক গোলস্কোরার তো বটেই। বর্তমান ফুটবলারদের মধ্যে গোল সংখ্যায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং লিওনেল মেসিকে তাড়া করছেন। ফুটবল মাঠে তাঁর সাহসের নমুনা মেলে বারবার। ব্যক্তিগত জীবনেও অদম্য সাহসী সুনীল। ছেলেবেলা থেকে নিজেকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দু’বার ভাবতেন না। তাতে যদি বাবা-মা বিরুদ্ধে যেতে হয় সেটাও গিয়েছেন। এর পিছনে একটাই কারণ, ফুটবল। যার জন্য দিল্লিতে নিজের স্কুল বদলে ফেলেছিলেন সুনীল। বাবা-মাকে না জানিয়েই স্কুল ট্রান্সফারের আবেদন করেছিলেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

সুনীলের বাবা কেবি ছেত্রী ছিলেন ভারতীয় সেনার ইঞ্জিনিয়ার। সুনীলের পড়াশোনা আর্মি স্কুল থেকে শুরু। পড়াশোনা করা বাধ্য ছেলে সুনীল স্কুলের ফুটবল টিমের অংশ ছিলেন। স্কুল থেকেই ফুটবলে হাতেখড়ি। কিন্তু আর্মি স্কুলের ফুটবল টিম অতটাও পোক্ত ছিল না। তাঁর স্কুল বড় কোনও টুর্নামেন্টে খেলতে গেলে বেশিদূর টিকতে পারত না। গ্রুপ স্টেজ থেকে বিদায় নয়তো খুব জোর কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত। অথচ সেখানে অন্যান্য স্কুলগুলির সাফল্য ঈর্ষণীয়। বাবা-মা মেনে নেবেন না এটা ভেবেই তাঁদের না জানিয়ে স্কুল বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন সুনীল। ভর্তি হন দিল্লির মমতা মডার্ন স্কুলে। দেশের ফুটবল সুপারস্টার বলেছেন, “আর্মি স্কুল ও মমতা মডার্ন স্কুলের মধ্যে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির ফারাক ছিল। বহু জনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে স্কুল বদলানোর সিদ্ধান্ত নিই। এছাড়া বাবা-মার কাছে নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ ছিল। কারণ স্কুল বদলানোর পর দিল্লিতে নিজের বাড়িতে থাকতাম না। স্কুলের হস্টেলে থাকতাম। এই সিদ্ধান্তে বাবা-মা মোটেও খুশি ছিলেন না।”

একা একা জীবনযাপনে নিজেকে অভ্যস্ত করে ফেলেন সুনীল। খেলার পাশাপাশি পড়াশোনাতেও মনোনিবেশ করেন। বাবা-মার কষ্ট হলেও সেইসব সিদ্ধান্তের জন্য আফসোস হয় না সুনীলের। বরং তিনি মনে করেন, সাহস করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে আজ সাফল্যের চূড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন।

Leave a Reply