Ashes, ENG vs AUS, Lord’s: ক্রিকেটের নিয়মের মধ্যে থেকেও যে আউট, সেটা যাঁরা হজম করতে পারে না, তাঁরাই ক্রিকেটীয় স্পিরিট নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এ ভাবেই ক্ষোভ উগরে দেন।
Image Credit source: twitter
শেষ হইয়াও হইল না শেষ। জনি বেয়ারস্টো আউট বিতর্ক যেন এমনই। অ্যাসেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বেয়ারস্টোর আউট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। অনেকেই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটীয় স্পিরিট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। সেই বিতর্কে এ বার মুখ খুললেন বিশ্বের অন্যতম সেরা আম্পায়ার সাইমন টফেল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস। ৫২ তম ওভারে ক্যামেরন গ্রিনের স্লোয়ার বাউন্সারে ডাক করেন জনি বেয়ারস্টো। এরপরই ক্রিজ ছেড়ে বেশ খানিকটা দূরে যান। অজি কিপার অ্যালেক্স ক্যারি উইকেটে বল মারেন। অজি ক্রিকেটাররা আউটের আবেদন করেন। মাঠের আম্পায়ার সিদ্ধান্ত ছাড়েন টিভি আম্পায়ারের দিকে। তিনি রিপ্লে দেখে আউট দেন। মাঠ ছাড়ার সময় অজি ক্রিকেটারদের ‘প্রতারক’ বলেন ইংল্য়ান্ড কিপার বেয়ারস্টো।
বেয়ারস্টোর আউটের বিতর্ক ছড়ায় লর্ডসের লংরুমেও। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয়, অজি টিমের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয় এমসিসি। ক্রিকেটীয় স্পিরিট নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাদের এক হাত নিয়েছিলেন ভারতের তারকা অলরাউন্ডার রবিচন্দ্র অশ্বিন। অ্যালেক্স ক্যারি নিয়মের মধ্যে থেকেই আউট করেছেন এবং তাঁর বুদ্ধিমত্তাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন অশ্বিন।
বেয়ারস্টো বিতর্কে আইসিসি-র প্রাক্তন এলিট আম্পায়ার সাইমন টফেল লিঙ্কড-ইনে পোস্ট করেছেন। ক্রিকেটের নিয়মের মধ্যে থেকেও যে আউট, সেটা যাঁরা হজম করতে পারে না, তাঁরাই ক্রিকেটীয় স্পিরিট নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এ ভাবেই ক্ষোভ উগরে দেন। লর্ডস টেস্টের পর ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম এবং অধিনায়ক বেন স্টোকস বলেছিলেন, এটা ক্রিকেটীয় মনোভাবের পরিচয় নয়। বিশ্বের অন্যতম সেরা আম্পায়ার সাইমন বলছেন, ‘আমার অভিজ্ঞতা বলে, যখন কেউ নিয়মের মধ্যে থেকেও আউটকে পছন্দ করে না, তখনই ক্রিকেটীয় স্পিরিট নিয়ে প্রশ্ন তোলে।’
অস্ট্রেলিয়ার এই প্রাক্তন আম্পায়ার যোগ করেন, ‘লর্ডসে বেয়ারস্টোর আউট কি ক্রিকেটীয় স্পিরিটের বিরুদ্ধে? কোনও আম্পায়ার কি ফিল্ডিং দলকে বলে কিপার এত পিছনে দাঁড়ালে স্টাম্পিং করা যাবে না? প্রথম ইনিংসে বেয়ারস্টো যখন একই ভঙ্গিতে লাবুশেনকে স্টাম্পিংয়ের চেষ্টা করেছিল, তা নিয়ে কেউ অভিযোগ তুলেছিল? নিজের আউট নিয়ে বেয়ারস্টো কিছু বলেছে? কেন বলেনি!’
একদিকে বেন স্টোকস দুর্দান্ত খেলছিলেন। বেয়ারস্টো ক্রিজে থাকলে হয়তো ইংল্যান্ড জিততেও পারত। শেষ অবধি ৪৩ রানে হার। তাতেই যে এই আউট নিয়ে বিতর্ক বেড়েছে, বলাই যায়।