Cricket World Cup 2023 : পিসিবি আগেই জানিয়েছিল, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নির্ভর করছে সেদেশের সরকারের উপর।
Image Credit source: Twitter
লাহোর : পাকিস্তানের বিশ্বকাপ খেলতে আসা নিয়ে নাটক অব্যাহত। পিসিবি (PCB) আগেই জানিয়েছিল, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নির্ভর করছে সেদেশের সরকারের উপর। চিঠি পাঠিয়ে পিসিবি বিশ্বকাপ খেলতে আসার অনুমতি চেয়েছে সরকারের কাছে। পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শেরিফ জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিশ্বকাপ (Pakistan Cricket) খেলা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে ওই কমিটির বৈঠকের রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। রিপোর্টের উপর নির্ভর করছে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ ভবিষ্যৎ। এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাক ক্রীড়ামন্ত্রী বলে দিয়েছেন, ব্যক্তিগতভাবে তিনি চান না ভারতে গিয়ে বিশ্বকাপ খেলুক পাকিস্তান। কারণ ভারতীয় দল এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে আসছে না। পাক ক্রিকেটের উপর সেদেশের সরকারের এই ‘খবরদারি’ মেনে নিতে পারছেন না প্রাক্তন পিসিবি চেয়ারম্যান খালিদ মাহমুদ। পাক সরকারের হস্তক্ষেপে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ওই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। পাক ক্রীড়ামন্ত্রী এহসান মাজারি ছাড়াও সরকারের একঝাঁক মন্ত্রী ওই কমিটিতে রয়েছেন। তবে আশ্চর্যজনকভাবে কমিটিতে নেই পিসিবির কোনও প্রতিনিধি। পাকিস্তান সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে প্রাক্তন বোর্ড চেয়ারম্যান খালিদ মাহমুদ। পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “সবচেয়ে আশ্চর্যের হল, কমিটিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কোনও প্রতিনিধি নেই। আমি মেনে নিচ্ছি যে ভারতের পাকিস্তান না আসার কোনও যৌক্তিকতা নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন কিছু হয় না। যদি বলেন ভারতে দল পাঠানোর আগে নিরাপত্তা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি তাহলেও সেটা বোঝা যায়। কিন্তু কেউ যদি খোলাখুলি বলেন যে, ভারত যদি না আসে তাহলে আমরাও দল পাঠাব না, এমনটা হওয়া উচিত নয়।”
খালিদ মাহমুদ পিসিবির চেয়ারম্যান থাকাকালীন ১৯৯৯ সালে ভারত সফরে এসেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট টিম। সেই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে খালিদ বলেন, “আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন হুমকি সত্ত্বেও ভারতে দল পাঠিয়েছিলাম। আমরা নিজেরাই আমাদের দলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেছি।ভারতে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে সরকারকে জানিয়েছিলাম যে, আমরা ভারতে যেতে ইচ্ছুক।”