ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে জড়িয়ে রয়েছে ক্রিকেট অ্যাসেজের রোমাঞ্চ। কিন্তু ফুটবলেও যে অ্যাসেজ হয় তা অনেক ক্রীড়াপ্রেমীই জানেন না।
ক্রিকেটের অ্যাসেজ তো জানেন, ফুটবলের অ্যাসেজের কথা শুনেছেন?
সিডনি: ৬৯ বছর পর ফিরছে ফুটবলের অ্যাসেজ (Ashes)। কি অবাক হচ্ছেন? ক্রিকেটের অ্যাসেজ তো সকলেই জানেন। ফুটবলের অ্যাসেজের কথা শুনেছেন? ক্রিকেটে অ্যাসেজ হয় অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যে। কিন্তু ফুটবলে তেমনটা নয়। চলতি বছরে ফুটবল অ্যাসেজ খেলতে চলেছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। যদিও এই প্রথম বার ফুটবলের অ্যাসেজ হবে তেমনটা নয়। ১৯২৩ সালে প্রথম ফুটবলের অ্যাসেজ হয়েছিল। এরপর ১৯৫৪ সালে হারিয়ে গিয়েছিল ফুটবল অ্যাসেজের ট্রফি। সেটিই এখন খুঁজে পাওয়া গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। হারিয়ে যাওয়া অ্যাসেজ ট্রফি খুঁজে পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়া ফুটবলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সিডনি স্টোরির পরিবার। ফুটবলের অ্যাসেজ ট্রফি ফিরে পাওয়ার খুশিতে কবে হবে এ বার এই টুর্নামেন্ট? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে জড়িয়ে রয়েছে ক্রিকেট অ্যাসেজের রোমাঞ্চ। কিন্তু ফুটবলেও যে অ্যাসেজ হয় তা অনেক ক্রীড়াপ্রেমীই জানেন না। জানা গিয়েছে চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর ফুটবলের ময়দানে ফিরছে অ্যাসেজ। ফুটবল অ্যাসেজের ট্রফিটির আদল বেশ অন্যরকম। একটি কাঠের বাক্সের ভেতর এক রুপোলি রংয়ের রেজর কেস রয়েছে। আর সেটির মধ্যে রয়েছে ১৯২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অজি ফুটবল দল ও নিউজিল্যান্ডের প্রথম ফুটবল ম্যাচের ২ অধিনায়কের সিগারেটের পোড়া ছাই। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় গ্যালিপলি রণক্ষেত্রের একজন সৈনিকের রেজর কেস ছিল সেটি। ‘আনজাক সকার ট্রফি’ নামে এই ফুটবলের অ্যাসেজ পরিচিত।
The legendary Anzac Soccer Ashes trophy, thought lost since 1954, has been recovered in Australia.
The trophy was created after the first trans-Tasman match in Australia and is made from the cigar ashes of both captains, housed in a razor case that was carried at Gallipoli 🇳🇿🇦🇺
— New Zealand Football 🇳🇿 (@NZ_Football) April 24, 2023
নিউজিল্যান্ড ফুটবলের প্রধান অ্যান্ড্রু প্র্যাগনেল ফুটবল অ্যাসেজ নিয়ে বলেছেন, ‘এটা একটা ঐতিহাসিক ট্রফি। এ বছরই অনুষ্ঠিত হবে এই লড়াই। আশা করছি ফুটবল অ্যাসেজ সামনের দিনগুলিতেও আয়োজিত হবে। ১৯৫৪ সালের পর এই ফের অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই লড়াই।’ ফুটবল অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস জনসনের মতে, ফুটবল অ্যাসেজের এই ট্রফি হচ্ছে ফুটবলের ইতিহাসের দারুণ একটা অংশ। এই ট্রফিটি দুই দেশের সামরিক সম্পর্কের প্রতীকও বটে।