এশিয়ান গেমসে পদক জয়ের পর মেহুলিরাImage Credit source: TV9 Bangla
বৈদ্যবাটি: চিনে আয়োজিত এশিয়ান গেমসের শুরু থেকেই পদক আসতে শুরু করেছে ভারতের ঝুলিতে। এর মধ্যে প্রথম পদক এসেছে মেয়েদের দলগত শুটিং ইভেন্ট থেকে। ১০ মিটার এয়ার রাইফেল শুটিংয়ে রূপো জিতেছেন মেহুলি ঘোষ, অশি চোকসে এবং রমিতা ক্লিঞ্চ। মেহুলি হুগলি জেলার বৈদ্যবাটির বাসিন্দা। মেয়ের এই সাফল্যে খুব খুশি বৈদ্যবাটির ঘোষ পরিবারের সদস্যদের। যদিও শুটিংয়ের ব্যক্তিগত ইভেন্টে একটুর জন্য পদক হাতছাড়া হয়েছে মেহুলির। ব্যক্তিগত ইভেন্টে চতুর্থ হয়েছেন তিনি।
মেহুলির পদক জয়ের স্বাক্ষী হতে রবিবার সকাল থেকেই টিভিতে চোখ রেখেছিলেন তাঁর মা, বাবা, দিদা। এখন মেহুলির সঙ্গে কথা বলার জন্য মুখিয়ে আছেন তাঁরা। মেয়ের এই কৃতিত্ব নিয়ে নিজেদের গর্বও টিভি৯ বাংলার প্রতিনিধির কাছে গোপন করেননি তাঁরা। মেহুলির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোটবেলা থেকেই শুটিংয়ে ঝোঁক ছিল মেহুলির। ছোটবেলায় বন্দুক দিয়ে বেলুন ফাটাতে ভালবাসতেন। তা দেখেই মেহুলির দিদা মঞ্জু পাল তাঁকে একটি রাইফেল কিনে দেন। সেই শুরু। তার পর শুটিংকেই ধ্যানজ্ঞান করেছিলেন মেহুলি। সে জন্যই কমনওয়েলথ গেমস, ইয়ুথ অলিম্পিক, এশিয়ান গেমসের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পদক জিতেছেন মেহুলি। এ বার তাঁর লক্ষ্য বিশ্বের সবথেকে বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অলিম্পিক।
মেয়ের সাফল্যের বিষয়ে মেহুলির বাবা নিমাই ঘোষ বলেছেন, “দলগত ইভেন্টে রূপো জিতেছে। খুব ভালো লাগছে। ব্যক্তিগত ইভেন্টে পদক পায়নি। ও যে রকম খেলে শুরুতে অতটা ভালো হয়নি। কিন্তু ঠিক আছে। ম্যাচেরক আগে আমাদের সঙ্গে কথা হয়নি। ম্যাচের আগে ফোন করে ওকে বিরক্ত করি না। যাতে ওর মনসংযোগ ঠিক থাকে।” মেহুলির মা মিতালি ঘোষ বলেছেন, “একটু হতাশ হলেও মেয়ের সাফল্য খুশি। সব সময় তো আর পদক আসে না। ব্যক্তিগত ইভেন্টে না পারলেও দল ইভেন্টে রূপো জিতেছে। ব্যক্তিগত ইভেন্টেও ষষ্ঠ স্থান থেকে যেভাবে চতুর্থ স্থানে লড়াই করে পৌঁছেছে, তার জন্য আমি গর্বিত।” মেহুলির দিদা মঞ্জু পাল বলেছেন, “ছোট থেকেই ওর শুটিংয়ে আগ্রহ ছিল। মেলায় গেলেই রাইফেল নিয়ে বন্দুক ফাটাতো। খুব ট্যালেন্টেডও। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। ও আমাদের গর্ব।”