মিথ ভাঙতে পারল না ইস্টবেঙ্গল, ড্রয়ে মরসুম শুরু লাল-হলুদের


কলকাতা: ইস্টবেঙ্গল কখনও আইএসএলের প্রথম ম্যাচ জেতে না। এ যেন মিথ হয়ে রয়েছে। হাতে গোনা কয়েক মরসুমই ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলছে লাল-হলুদ। প্রতি মরসুমে শুধু প্রত্যাশাই থাকে। পূরণ আর হয় না। নতুন মরসুম শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। এ বারও ড্র। কিছু ইতিবাচক দিক। তবে সমর্থকদের জন্য হতাশারই শুরু। এমন শুরু কোনও সমর্থকই চান না। বিশেষ করে প্রতিবেশি মোহনবাগান যখন জয় দিয়ে মরসুম শুরু করে। ইস্টবেঙ্গল শিবিরে কি প্রাপ্তির কিছুই নেই? ড্র ম্যাচেও কিছু প্রাপ্তি হয়। ইস্টবেঙ্গলেরও হল। ম্যাচের বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

গত কয়েক মরসুমের হতাশা এ বার কিছুটা হলেও কেটেছে ইস্টবেঙ্গলে। কলকাতা লিগে ভালো পারফর্ম করছে জুনিয়র টিম। সিনিয়র টিম ডুরান্ড কাপে রানার্স হয়েছে। মরসুমে এখনও অবধি দুটি ডার্বির মধ্যে একটি জয়। কোচ নতুন, প্লেয়ারদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন গত মরসুমেও ছিলেন। বাকি সকলেই নতুন। বোঝাপড়া তৈরি হতে সময় লাগবে এটাই স্বাভাবিক। তাই আইএসএলে মরসুমের প্রথম ম্যাচেই ড্র করাটা খারাপ ফলও বলা যায় না ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে।

লালচুননুঙ্গা জাতীয় দলে রয়েছেন। বিদেশি ডিফেন্ডার জর্ডন এলসে ডুরান্ড ফাইনালে চোট পেয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাইরে। রক্ষণে বাড়তি ভরসা প্রয়োজন ছিল। অধিনায়ক হরমনজ্যোৎ খাবরাকে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার পজিশনে ব্যবহার করেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। খাবরা অনেক পজিশনেই খেলতে পারেন। এই পজিশনেও ভরসা দিলেন। তাঁর পারফরম্যান্সে মুগ্ধ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত।

ইস্টবেঙ্গলে গত মরসুমের নায়ক ক্লেটন সিলভা এখনও পুরোপুরি ম্যাচ ফিট নন। সেটাও একটা কারণ বেঞ্চে রাখার। তবে ইস্টবেঙ্গল এদিন হতাশ হতে পারে সিভেরিওর পারফরম্যান্সে। নাওরেম মহেশ, বোরহা, নন্দকুমার বেশ কিছু বল বাড়িয়েছেন। সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের আরও একটি চমক। আইএসএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় কণিষ্ঠতম হিসেবে অভিষেক হয় ভানলালপেকা গুইতের।

অ্যাডেড টাইমে জামশেদপুর এফসির এমিল বেনিকে লাল কার্ড দেখানো হয়। শেষ দিকে মিনিট তিনেক ১০ জনে খেলতে হয়েছে জামশেদপুরকে। তবে এত সুযোগ মিসে, তিন মিনিট কোনও পার্থক্য গড়ে দেবে, এমন প্রত্যাশা না করাই ভালো।

Leave a Reply