নয়াদিল্লি: এশিয়া কাপের আগে থেকেই ঠান্ডা লড়াই চলছিল পাকিস্তান ক্রিকেটে। টিমের ওপর নানা শর্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বাবর আজম, শাহিন আফ্রিদির সিনিয়র প্লেয়ারদের অনেকেই তা মেনে নিতে পারেননি। বিদেশি লিগে খেলা নিয়ে শর্ত দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সরাসরি এই বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। যদিও ক্রিকেটের ওপর যাতে প্রভাব না পড়ে সেটাও নজরে রেখেছিলেন বাবররা। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ খেলেন। জেতেনও। এশিয়া কাপেও খেলেন। এ বার সামনে বিশ্বকাপ। ঠান্ডা লড়াই যদিও চলছিল। তাহলে কি বিশ্বকাপের আগে সেটা মিটল? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
পাকিস্তান প্লেয়াররা পাল্টা দাবি করেছিলেন, আইসিসির থেকে বোর্ড যে লভ্যাংশ পায় সেখান থেকে তাঁদেরও একটা অংশ দিতে হবে। এই দাবিতে অটল ছিলেন পাকিস্তানের সিনিয়র ক্রিকেটাররা। আর্থিক কারণেই বিদেশের লিগে খেলছিলেন পাক ক্রিকেটাররা। আবু ধাবি টি২০ লিগে বেশ কয়েকজন প্লেয়ার সই করেন। এর জেরেই নানা শর্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বোর্ড। তবে ক্রিকেটারদের দাবির সামনে মাথা নত করতে বাধ্য হল।
এশিয়া কাপের সময়ই পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রধান জাকা আশরফ মিটিং করেছিলেন বাবর আজমদের সঙ্গে। নানা ভাবে এই সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেছিলেন। তাতে অবশ্য সমস্যা মেটেনি। গত চার মাস বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি ছাড়াই খেলছিলেন পাক ক্রিকেটাররা। বিদ্রোহের প্রভাব যাতে বিশ্বকাপে না পড়ে, নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয় পাকিস্তান বোর্ড। ভারতে রওনা হওয়ার আগে বাবর আজমদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন জাকা আশরফ। মধ্যস্থতা করেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হক। অনেক দরকষাকষির পর সুরাহা হয়েছে বলেই খবর।
বাবর আজমরা নতুন চুক্তিতে সই করার ব্যাপারে কথা দিয়েছেন। তবে বিশ্বকাপ থেকে ফিরেই এই চুক্তি হবে। নতুন চুক্তি অনুযায়ী, বাবর আজম, শাহিন আফ্রিদি, মহম্মদ রিজওয়ানের মতো সিনিয়র প্লেয়াররা এ ক্যাটেগরিতে থাকবেন। তাঁরা মাসে পাবেন ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা। আইসিসির লভ্যাংশ থেকে ৩ শতাংশ পাবেন ক্রিকেটাররা। তবে প্রতি ক্রিকেটারের থেকে মোট আয়ের ১০ শতাংশ ট্যাক্সও কাটা হবে।