Titas Sadhu: বাড়ি ফিরলেন সোনার মেয়ে তিতাস, জানালেন আগামীর লক্ষ্যImage Credit source: Twitter
কলকাতা: দিনদুয়েক আগে এশিয়ান গেমস ক্রিকেটে সোনা জিতে ইতিহাসের পাতায় নাম তুলেছে ভারতের মেয়েরা। এশিয়াডে ক্রিকেটে ভারতের সোনা জয়ের অন্যতম কারিগর চুঁচুড়ার তিতাস সাধু। আর দিনদুয়েক পর ১৯-এ পা দেবেন তিতাস সাধু। সোনার মেয়ে হানঝাউ থেকে আজ বাড়ি ফিরলেন। বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ চুঁচুড়া কলেজ রোডের বাড়িতে পৌঁছেছেন তিতাস। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এশিয়ান গেমসের ফাইনালে তাঁর আগুনে স্পেল নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। তিতাস বাড়ি ফেরায় এখন চুঁচুড়ায় চলছে সেলিব্রেশন। এরই মধ্যে আগামীর লক্ষ্য জানালেন সোনার মেয়ে তিতাস। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
হানঝাউ থেকে সোনা নিয়ে বাড়ি ফেরার পর তিতাস বলেন, ‘আমার উপর কোনও চাপ ছিল না। আমাকে যা করতে বলা হয়েছিল, সেটাই করেছি। আর তাতেই সাফল্য পেয়েছি। সামনেই ঘরোয়া ক্রিকেট রয়েছে। এ বার আমার সেদিকেই ফোকাস। আগামী দিনে জাতীয় দলে টানা খেলে যাওয়াই আমার লক্ষ্য। যে সুযোগ পেয়েছি, তা কাজে লাগাতে পেরেছি এতেই আমি খুশি। ভালো করার কোনও শেষ নেই। তবে চাইব আগামী দিনে যেন আরও ভালো করতে পারি।’
ভারতের হয়ে এশিয়াডে সোনা জিতে ফেরা তিতাসের বাবা রনজয় সাধু বলেন, ‘একটা বাচ্চা মেয়ে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে এটাই বড় কথা। সুযোগ পাওয়া প্রথম কাজ হলে দ্বিতীয় কাজ হল ছাপ ফেলে আসা। সেটা তিতাস করতে পেরেছে। দলে সুযোগ পেয়ে সেটা ধরে রাখা আরও বড় বিষয়। ওর পারফরম্যান্স ভালো হলে সবাই ভালো বলবে। ডাক পাওয়াটা আমাদের হাতে নেই। তবে ডাক পেলেই যেন ওর সেরাটা দিতে পারে সেটাই আশা করব।’
তিতাসের চুঁচুড়া ক্লাবের কোচ প্রিয়ঙ্কর মুখার্জি বলেন, ‘তিতাস সব সময় শান্ত থাকে। মাথা ঠান্ডা রাখে। বল করে মার খেলে বা উইকেট পেলেও একই রকম থাকে ও। এটাই একজন ক্রিকেটারের গুণ। অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস যেমন ভালো নয়। আবার ভেঙে পড়াটাও ভালো না। এশিয়ান গেমসে খেলতে যাওয়ার পর ওর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে একাধিকবার। একটাই কথা তিতাসকে বলেছি নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলে যাও। এশিয়ান গেমসে সোনা জয় অবশ্যই বড় বিষয়। তবে নতুন ম্যাচে খেলতে নামলে আগের ম্যাচ ভুলে যেতে হয়। নতুন করে শুরু করতে হয়। তিতাস সেটাই করে চলবে। আরও সাফল্য আসবে আশা করি।’
সিনিয়র টিমে তিনি যে পাকাপাকি জায়গা পেতে চান, তা প্রমাণ করেছেন তিতাস। এ বার দেখার নিয়মিত তিনি জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ কখন পান।