আইএসএলে এ বার বেশির ভাগ ম্যাচই শুরু রাত ৮টা থেকে। যুবভারতীতে এ মরসুমের প্রথম ম্যাচটি শুরু হয়েছিল রাত ৮.৩৫ থেকে। সেদিন ছিল ডাবল হেডার। ভুবনেশ্বরে দিনের প্রথম ম্যাচ দেরিতে শুরু হওয়ায় কলকাতায় ম্যাচেও সমস্যা হয়েছিল। যুবভারতীতে ম্যাচ হলে রাত ১০টার পর সেখান থেকে বাড়ি ফেরা সমর্থকদের কাছে বিশাল সমস্যার। যাঁরা বাইক কিংবা গাড়ি নিয়ে আসেন তাঁদের বিষয়টা আলাদা। যদিও সমর্থকদের বেশির ভাগই ফেরা নিয়ে সমস্যায় ভোগে। এ বার রাত ১০ টার পর বিশেষ মেট্রো থাকায় সমস্যা অনেকটাই মিটেছে।
বিদেশি লিগে দেখা যায়, প্রিয় দলকে সমর্থন জানাতে নানা উপায় বের করেন। গ্যালারিতে রং মশাল, টিফো, ফ্ল্যাগ, ড্রাম নিয়ে মাঠে ঢোকেন। গানে গানে দলকে তাতান সমর্থকরা। কিছুদিন আগে মোহনবাগান ক্লাবে এসে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে বলেছিলেন, এই সংস্কৃতি ভারতীয় ফুটবলেও আমদানি করতে হবে। খেলার মাঠের পরিবেশে আরও উন্নতি করতে হবে।
ইচ্ছে থাকলেও সমর্থকদের উপায় ছিল না। কলকাতায় ম্যাচ মানে সমর্থকদের হয়রানি। নানা নিষেধাজ্ঞা। টিফো, ফ্ল্য়াগও আটকে দেওয়া হত। অবশেষে দারুণ খবর মোহনবাগানের জন্য। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের জন্য ড্রামস, মেগাফোনস, ব্য়ানার, ফ্ল্যাগ, টিফো এসব নিয়ে মাঠে ঢোকা যাবে। শুধুমাত্র ক্লাবের অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের জন্যই এই সমস্ত জিনিস মাঠে নিয়ে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে রাজ্যের ক্রীড়া দফতর ও বিধানগর পুলিশ কমিশনারেট। এখানেও অবশ্য শর্ত রয়েছে। কলকাতা ডার্বি ছাড়া ঘরের মাঠে সমস্ত ম্যাচে এই সমস্ত জিনিস নিয়ে গ্যালারিতে যাওয়া যাবে। প্রিয় দলকে তাতানোর জন্য সমর্থকদের কাছে নিঃসন্দেহে দারুণ খবর।