এশিয়ান গেমসের বাইশ গজে নতুন ক্রিকেট ইতিহাস লিখে ফেলল নেপাল।Image Credit source: টুইটার
হানঝাউ: মেয়েদের ক্রিকেটে ফলেছে সোনা। হরমনপ্রীত কৌর, তিতাস সাধুরা ক্রিকেট থেকে প্রথম সোনা দিয়েছেন দেশকে। ভারতের ছেলেরাও কি সেই সোনালি ঝলকই দেখাবেন? রিঙ্কু সিংরা মাঠে নেমে পড়ার আগেই এশিয়ান গেমসের (Asian Games 2023) ক্রিকেটে (Cricket) রানের ফুলঝুরি। এই প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে উঠল ৩০০র বেশি রান। তৈরি হল দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরির রেকর্ডও। হানঝাউয়ের ক্রিকেট মাঠে কার্যত রানের সুনামি তুলল নেপাল (Nepal vs Mongolia)। মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে ধুয়ে মুছে গেল এতদিনের বহু রেকর্ড। TV9Bangla Sportsএ বিস্তারিত।
টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে এতদিন সর্বোচ্চ রান ছিল আফগানিস্তানের। ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে রশিদ খানরা করেছিলেন ২৭৮-৩। সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়ে মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে নেপাল তুলল ৩১৪-৩। ওই ম্য়াচে আফগানিস্তানের ব্যাটাররা মেরেছিলেন মোট ২২টা ছয়। তা ভেঙে দিয়ে ছয়ের নতুন দলগত রেকর্ডও কায়েম হল। মোট ২৬টা ছয় মারলেন নেপালি ক্রিকেটাররা। তার থেকেও বড় তথ্য হল, দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি এবং সেঞ্চুরির রেকর্ডও ভেঙে চুরমার হয়ে গেল রানের সুনামিতে।
মাত্র ৯ বলে হাফসেঞ্চুরি করলেন দীপেন্দ্র সিং আইরি। এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড দখলে ছিল ভারতের যুবরাজ সিংয়ের। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১২ বলে ফিফটি করেছিলেন যুবি। স্টুয়ার্ট ব্রডকে ছ’বলে ছ’টা ছয় মেরেছিলেন। ১০ বল খেলে নট আউট ৫২ করেন দীপেন্দ্র। যার মধ্যে ৮টা বল সরাসরি পাঠিয়েছেন গ্যালারিতে। দীপেন্দ্রর স্ট্রাইক রেট ৫২০। যা টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে আর কেউ কোনও ইনিংসে করে দেখাতে পারেননি।
এতেই শেষ নয়, নেপালের কুশল মাল্ল টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরিও করে ফেললেন। মাত্র ৩৪ বল নিয়েছেন ১০০ পার করতে। ৫০ বল খেলে শেষ পর্যন্ত ১৩৭ করে যান কুশল। ভারতের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা ও দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলারের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন তিনি। রোহিত ও মিলার ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। মঙ্গোলিয়ার বোলিং যে একেবারেই ভালো ছিল না, নেপালের বিধ্বংসী ম্যাচই তার প্রমাণ। ব্যাট হাতে একাধিক রেকর্ড তছনছ করার পর বল হাতে সফল নেপালিরা। ম্যাচ জেতার জন্য মঙ্গোলিয়ার টার্গেট ছিল ৩১৫। মাত্র ৪১ রানে শেষ হয়ে যায় তারা। ২৭৩ রানে জিতল নেপাল। যা আবার টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়।