ওয়েটার থেকে এশিয়ান গেমসে পদক, রাম বাবুর কাহিনি শুনলে চোখে জল আসবে


হানঝাউ: ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখতে নেই… অনেককেই এ কথা শুনতে হয়। তারপর একদিন সাফল্য ধরা দিলে… বাধনভাঙা খুশি ছাড়া আর কিছু হয় না। এক সময় রাস্তায় কাটত দিন, জীবন যাপনের জন্য ওয়েটারের চাকরিও করেছেন উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রের বহুরা গ্রামের রাম বাবু। কিন্তু কখনও নিজের লক্ষ্য থেকে সরে যাননি রাম বাবু। ২০১৮ সালে রামবাবু বাড়ি ছেড়েছিলেন নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য। কাঁটায় ভরা পথ পেরিয়ে সেই রাম বাবু এখন বিশ্বমঞ্চে ভারতের নাম উজ্জ্বল করছেন। হানঝাউ গেমসে (Asian Games 2023) ৩৫ কিমি হাঁটা মিক্সড টিমের সদস্য ছিলেন রাম বাবু। মঞ্জু রানির সঙ্গে জুটিতে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন তিনি। TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে জেনে নিন রাম বাবুর (Ram Baboo) জীবনের দুঃখের কাহিনি।

বরাবর লং ডিসট্যান্স রানার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন রাম বাবু। যে কারণে বছর পাঁচেক আগে বাড়িও ছাড়েন। কিন্তু হাতে অর্থ ছিল না। বারাণসীতে পৌঁছে যান তিনি। সেখানে কাছাকাছি অ্যাথলেটিক্স স্টেডিয়াম ছিল। অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য এবং থাকা ও খাওয়ার জন্য অর্থের প্রয়োজন ছিল রাম বাবুর। সেই সময় ওয়েটারের কাজ করা শুরু করেন তিনি। তাঁর স্বপ্ন তাতে দমেনি। ওয়েটারের কাজ করার সময় রাম বাবুকে অনেক অপমান সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু দু’টো পয়সার জন্য মুখ বুজে তিনি সব সহ্য করে নিতেন।

কষ্টের দিনগুলোর কথা মনে করে রাম বাবু বলেন, ‘অনেকের অনেক অপমান সহ্য করেছি। খুব কষ্ট হত অপমান হজম করতে। অনেক সময় আমি মাঝরাত অবধি কাজ করতাম। রবিবারও কাজ করতাম। ভোর ৪টে থেকে সকাল ৮টা অবধি তারপর অনুশীলন করতাম। ফের কাজ করতে যেতাম। যে অল্প টাকা পেতাম, তাতে পেট চলত না। সঠিক ট্রেনিং করতে পারতাম না। মাঝে মাঝে চোট পেলে তার চিকিৎসাও করাতে পারতাম না। তবে সব কিছুর থেকে বেশি কষ্ট হত, যখন দেখতাম অনেকে আমাকে মানুষ বলেও ভাবে না। চরম অপমান করে।’

বিস্তারিত আসছে…

Leave a Reply