সেই রাত ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে স্মরণীয়। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় বার ওয়ান ডে ফরম্যাটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সেই টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সুরেশ রায়না। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। জন্টি রোডসের মতো তারকাও যাঁকে বিশ্বের সেরা ফিল্ডার মনে করেন। ২০১১ সালে বিশ্বজয়ী দলের প্লেয়ার মনে করছেন, প্রত্যাশার চাপ নিতে প্রস্তুত টিম ইন্ডিয়া। গত কয়েকটি বিশ্বকাপের পরিসংখ্যান আরও বেশি আত্মবিশ্বাস জোগাবে, মত তাঁর। ভারত আয়োজক দেশ ছিল ২০১১ সালে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তেমনই ২০১৫ সালে আয়োজক অস্ট্রেলিয়া এবং গত বিশ্বকাপে আয়োজক ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়। এ বার কি সেই কারণেই ভারতের সম্ভাবনা বেশি? কী বলছেন রায়না! বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আইসিসির কলামে সুরেশ বলছেন, ‘ভারতীয় দেশের মাটিতে খেলছে। প্রত্যাশার চাপ কতটা থাকে, আমরা সেটা ভালো করেই জানি। টিমকে চেষ্টা করতে হবে, পরিস্থিতি অনুযায়ী পারফর্ম করা। আমরা ঘরের মাঠে ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জিতেছি, তেমনই ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া এবং ২০১৯-এ ইংল্যান্ডও ঘরের মাঠে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ঘরের মাঠের সমর্থকদের সামনে আমাদের কাছে আরও একটা বিশ্বকাপ জয়ের দারুণ সুযোগ। আমি প্রবল আত্মবিশ্বাসী, ওরা এটা পারবে।’
ঘরের মাঠে ২০১১ সালের বিশ্বজয়ী দলের দুই সদস্য এ বারও টিমে রয়েছেন। বিরাট কোহলি এবং শেষ মুহূর্তে স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া রবিচন্দ্রন অশ্বিন। টিম ইন্ডিয়ার ওপর রায়নার অগাধ আত্মবিশ্বাসের নানা কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম, ভারতের বোলিং আক্রমণ। রায়নার কথায়, ‘আত্মবিশ্বাসী হওয়ার নানা কারণ রয়েছে। আমাদের বোলিং আক্রমণ খুবই ভালো। যে কোনও পরিস্থিতিতেই ভালো বোলিং করতে পারে ওরা। আমাদের সময়কার বিশ্বজয়ী দলের সদস্য় অশ্বিন এই বোলিং আক্রমণে রয়েছে। ওর অভিজ্ঞতা দলের কাছে বড় সম্পদ। আর চোট সারিয়ে ফিরে বুমরা যেমন পারফর্ম করছে, সঙ্গে মহম্মদ সিরাজ। পেস বোলিং আক্রমণে, পরস্পরকে দারুণ সহযোগিতা করে। বুমরার ফিট হয়ে ওঠা আমাদের কাছে দারুণ প্রাপ্তি।’
বোলিংয়ে যেমন বুমরা, অশ্বিনদের কথা বলছেন, তেমনই ব্যাটিংয়ে তাঁর বাজি অনেকেই। রায়নার কথায়, ‘বিরাট কোহলির মতো ব্যাটার রয়েছে যে ইনিংস অ্যাঙ্কর করতে পারে। প্রয়োজনে পুরো ওভার ক্রিজে থাকতে পারবে। তেমনই বিধ্বংসী ওপেনিং জুটি। গত বিশ্বকাপে পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছে রোহিত। টপ থ্রি যদি ২৫-৩০ ওভার অবধি ব্যাট করতে পারে, প্রতিপক্ষকে বিশাল রানের লক্ষ্য দিতে পারি আমরা।’
আজ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে টিম ইন্ডিয়া। চেন্নাইতে ম্যাচ। স্পিনারদের জন্য সহায়তা থাকে। রায়নার প্রাক্তন সতীর্থ রবিচন্দ্রন অশ্বিন হয়তো এই ম্যাচ থেকেই রং বদলে দিতে শুরু করল!