স্পিনত্রয়ীর ধামাকা, বিরাটের অনবদ্য ফিল্ডিং; ভারতের সামনে লক্ষ্য ২০০


চেন্নাইয়ে স্পিনাররা পার্থক্য গড়ে দেবেন এমনটাই প্রত্যাশিত। রোহিত শর্মা যেমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তিন স্পিনারেই একাদশ সাজালেন। লাস্ট মিনিটে স্কোয়াডে এন্ট্রি হয়েছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। ঘরের মাঠে আরও একটা বিশ্বকাপে খেলছেন। স্পিন বোলিংয়ে নেতৃত্ব দিলেন। দাপট দেখালেন রবীন্দ্র জাডেজা এবং কুলদীপ যাদব। এ বছর ব্যাটিংয়ে যেমন দুর্দান্ত ফর্মে শুভমন গিল, তেমনই বোলিংয়ে কুলদীপ। ওয়ান ডে ফরম্যাটে এ বছর সবচেয়ে বেশি উইকেট তাঁর দখলেই। বুমরা-কোহলি জুটিতে শুরু উইকেট নেওয়া। এরপর অস্ট্রেলিয়াকে ফাঁদে ফেলল স্পিনত্রয়ী। একটা সময় মনে হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করবে টিম ইন্ডিয়া। লোয়ার অর্ডার পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেয়। যদিও শেষ ওভারে ১৯৯ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়া। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হল ভারত-অস্ট্রেলিয়ার। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। টস হারাটা যেন ভারতের জন্য ভালোই হয়েছে। শুরুতেই জসপ্রীত বুমরার বোলিংয়ে অনবদ্য ক্যাচে মিশেল মার্শকে ফেরান বিরাট কোহলি। একাই ছিলেন স্লিপে। অনেকটা ওয়াইড দাঁড়াতে হয়েছিল। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে অনবদ্য ক্যাচ বিরাটের। তেমনই শর্ট এক্সট্রা কভারে দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে রান আটকালেন। ফিটনেসে বাকিদের কাছে বরাবরই উদাহরণ। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই তা করে দেখালেন।

অজি শিবিরে ভরসা হয়ে উঠেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ। এই জুটি ক্রিজে থাকায় অন্তত ২৫০ রানের প্রত্যাশা ছিল অজি শিবিরে। তবে ক্রমশ সেই লক্ষ্য ক্রমশ ফিকে হতে থাকে। দলীয় ৭৪ রানে ওয়ার্নার-স্মিথ জুটি ভাঙেন কুলদীপ। নিজের বোলিংয়ে ক্যাচ কুলদীপের। ক্রিজে স্মিথের সঙ্গে যোগ দেন লাবুশেন। দুই ডান হাতি ব্যাটার থাকায় রবীন্দ্র জাডেজাকে দ্রুতই আক্রমণে আনেন। স্মিথকে ফিরিয়ে মিশন সাকসেসফুল জাডেজার। শুধু তাই নয়, ১০ ওভারের স্পেলে মাত্র ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট জাড্ডুর।

কুলদীপ যাদব ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। তবে সেরা উইকেটটি তাঁর নামেই। স্পিন সহায়ক পিচে অস্ট্রেলিয়ার মূল ভরসা হয়ে উঠতে পারতেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। স্পিনের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেলেন তিনি। ওয়ান ডে ক্রিকেটে স্ট্রাইকরেট ভয়ঙ্কর। এ দিন তাঁকে হাত খোলারই সুযোগ দিল না ভারত। ডট বলের চাপ নিতে পারেননি ম্যাক্সওয়েল। লেগ স্টাম্প ছিটকে দেন কুলদীপ যাদব। রবিচন্দ্রন অশ্বিন প্রথম স্পেলে রান আটকান, দ্বিতীয় স্পেলে উইকেটও নেন। সব মিলিয়ে ১০ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ১ উইকেট অশ্বিনের। স্পিনত্রয়ীর মোট ৩০ ওভারে ১০৪ রান দিয়ে ৬ উইকেট। এটাই যেন পার্থক্য গড়ে দিল। ৪৯.৩ ওভারে ১৯৯ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়া।

Leave a Reply