সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন তো নয়! কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ব্য়াটারদের কাছে রবীন্দ্র জাডেজার বোলিং যেন তাই মনে হয়েছে। অজি ব্যাটাররা হয়তো রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জন্য মানসিক প্রস্তুতি সেরেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন চায়নাম্যান কুলদীপ যাদবও। জাডেজাকে নিয়ে ভাবার সময়ই যেন হয়নি। অশ্বিন রান আটকালেন, কুলদীপ দামি দুটি উইকেট নিলেন, রবীন্দ্র জাডেজা দুটোই করলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযানের শুরুতে অনবদ্য রবীন্দ্র জাডেজা। চেন্নাইয়ে ম্যাচ। আর চিপকের পিচ তিনি চিনবেন না, এ আবার হয় নাকি! ইনিংস বিরতিতে যেন সেটাই বোঝাতে চাইলেন জাড্ডু। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
চেন্নাইয়ে লো-স্কোরিং ম্যাচ হবে এমনটা ভাবনা ছিলই। তবে ভারতীয় স্পিনারদের বিরুদ্ধে অজি ব্যাটাররা এ ভাবে খাবি খাবে, এমনটা প্রত্যাশিত ছিল না। বিশেষ করে করে, ভারতে এত ক্রিকেট খেলার পর এখানকার পরিবেশ, পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁদেরও জানা। কিন্তু জাডেজা যেন সেই সুযোগই দিলেন না। কোটার ১০ ওভারে ২ টি মেডেন সহ তিন উইকেট। পিচ কেমন ছিল? অনবদ্য বোলিংয়ের পর জাডেজা বলছেন, ‘আমি চেন্নাই সুপার কিংসে খেলি। এখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে খুব ভালো জানা। পিচ দেখেই মনে হয়েছিল, আমার ২-৩টি উইকেট পাওয়া উচিত। সৌভাগ্যবশত আমি সেটা পেরেছি।’
অজিদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা প্রসঙ্গেও খোলসা করেন জাড্ডু। বলছেন, ‘আমার লক্ষ্যই ছিল স্টাম্প সোজা বোলিং করা। কেন না, পিচ থেকে কিছু ডেলিভারি টার্ন হচ্ছিল। ফলে সঠিক জায়গায় বল রাখতে পারলে, ব্যাটার ভুল করবেই।’ চেন্নাই সুপার কিংসে খেলার সময় ব্যাটিংয়ে চিপকের অভিজ্ঞতা সুখকর হয় না জাডেজার। বিশেষ করে বলতে হয় আইপিএলের গত সংস্করণের কথা। কেন না, জাডেজা আউট হলে নামবেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। চিপকের গ্যালারির তর সইত না মাহির জন্য। জাডেজা আউট হলে যেন গর্জন বাড়ত। এখন দেশের হয়ে খেলছেন জাডেজা। চেন্নাইয়ের পুরো সমর্থন তাঁর জন্য থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। জাড্ডু বলছেন, ‘চেন্নাইয়ের সমর্থন সবসময়ই পেয়েছি। এত দর্শক দেখে ভালো লাগছে।’
বোর্ডে ২০০ রানের লক্ষ্য। জেতার আগে সেলিব্রেশনে ভাসতে নারাজ জাডেজা। ক্রিকেট কত বড় অঘটনের খেলা প্রত্যেকেরই জানা। জাডেজাও তাই অপেক্ষা করছেন লক্ষ্য পূরণের। আগে থেকে কোনও অনুমানে নারাজ জাড্ডু।