বিশ্বকাপের উদ্বোধনে নজর ছিল একটা আকর্ষণীয় ম্যাচের। মুখোমুখি হয়েছিল গত বারের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। কিন্তু হয়েছিল এক পেশে ম্যাচ! এমনটা কেউ আদৌ ভাবতে পেরেছিল? বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট ইংল্যান্ড। তাদের বিরুদ্ধে ৯ উইকেটে জয় নিউজিল্যান্ডের! দলের সেরা ব্যাটার এবং অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে ছাড়াই এমন জয়। আজকের ম্যাচেও পাওয়া যাবে না উইলিয়ামসনকে। তবে ফিরতে পারেন টিম সাউদি। সামনে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল নেদারল্যান্ডস। কাগজে-কলমে পরিস্থিতি যাই হোক, ম্যাচে অনেক মুহূর্তই পার্থক্য গড়ে দেয়। নেদারল্যান্ডস এমন ভাবেই চ্যালেঞ্জ করবে না তো নিউজিল্যান্ডকে? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এক যুগ পর ওয়ান ডে বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছে নেদারল্যান্ডস। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারলেও প্রতিপক্ষকে যথেষ্ঠ বেগ দিয়েছে। একটা সময় অবধি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ডাচদের হাতেই ছিল। আলাদা করে বলতে হয় বাস ডি লিডের কথা। ৪ উইকেট এবং হাফসেঞ্চুরির বিধ্বংসী ইনিংস। ডি লিড ক্রিজে থাকলে হয়তো ম্যাচ জিতেও মাঠ ছাড়তে পারত নেদারল্যান্ডস। ব্যাটিংয়ে বিক্রমজিৎ সিংয়ের পারফরম্যান্সও নজরকাড়া। শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয় না। সে কারণেই অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে গত ম্যাচের পারফরম্যান্সই সম্পদ হতে পারে।
নিউজিল্যান্ড প্রথম ম্যাচে সেই অর্থে চ্যালেঞ্জের সামনে পড়েনি। বিশেষ করে বলতে হয় তাদের ব্যাটিংয়ের কথা। শুরুতে এক ওপেনারকে হারালেও অভিজ্ঞ ডেভন কনওয়ে এবং বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা রাচিন রবীন্দ্র সেঞ্চুরি করেন। মূলত কনওয়ের অভিজ্ঞতাই পার্থক্য গড়ে দেয়। তাদের মিডল অর্ডারের পরীক্ষা এখনও বাকি। গত ম্যাচে ইংল্যান্ডের মতো দলকে এক তরফা হারানো, কিউয়ি শিবিরে আত্মবিশ্বাসের পরিবর্তে আত্মতুষ্টিও জায়গা করে দিতে পারে। সেটা হলে! নেদারল্যান্ডস কি কোনও অঘটন ঘটাতে পারে? নেদারল্যান্ডসের কাছে হারানোর কিছু নেই। বরং বিশ্বকাপের মঞ্চে কয়েকটা ম্যাচেও নজর কাড়তে পারলে, প্রাপ্তি অনেক। সে কারণেই চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারবে তারা। কিউয়িদের ওপর প্রত্যাশার চাপ অনেক বেশি।