Josh Hazlewood-Virat Kohli: বিরাটের ক্যাচ মিস করলেও মার্শকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চান না হ্যাজেলউড


চেন্নাই: হার্সল গিবসের সেই তালিকায় কি চিরকালীন জায়গা পেতে পারেন মিচেল মার্শ? ১৯৯৯ সালে স্টিভ স্মিথের ক্যাচ ধরেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার গিবস। কিন্তু এত দ্রুত তালুবন্দি রাখার সময় এত কম ছিল যে, আম্পায়ার নট আউট দিয়েছিলেন। ওই বিশ্বকাপটা দক্ষিণ আফ্রিকার নামে লেখা থাকতে পারত। গিবসের ক্যাচ-বিভ্রাট কেড়ে নিয়েছিল বিশ্বকাপটা (ICC World Cup 2023)। মার্শকেও কি আগামী দিনে বলা হতে পারে, ১২ রানের মাথায় বিরাট কোহলির ক্যাচটা যদি না ফেলতেন…! অস্ট্রেলিয়ার ২০০ রান তাড়া করতে নেমে ২ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ভারত। রোহিত শর্মা, ঈশান কিষাণ, শ্রেয়স আইয়াররা ফিরে গিয়েছেন। ক্রিজে বিরাট কোহলি আর লোকেশ রাহুল। একজন আউট হয়ে যাওয়া মানে ম্যাচ জেতার স্বপ্ন শেষ। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের শুরুতে এমনটা হলে চরম ধাক্কা খেতেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। মার্শ কার্যত ভিলেন হয়ে গিয়েছেন। TV9Bangla Sports-এ বিস্তারিত।

তখন ১২ রানে ব্যাট করছিলেন। হ্যাজেলউডের বাউন্সে পুল করতে গিয়েছিলেন বিরাট। কিন্তু সেই শট ঠিকঠাক ছিল না। ক্যাচ উঠে যায়। মার্শ আর অ্যালেক্স ক্যারি ক্যাচ তাড়া করেছিলেন। শেষ মুহূর্তে মার্শকেই অগ্রাধিকার দেন ক্যারি। কিন্তু ওই ক্যাচ মিস করেন মার্শ। ব্যাট হাতে কিছুই করতে পারেননি, ফিল্ডিংয়েও বিরাটের গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচটা ফেলেন। তখন যা পরিস্থিতি ছিল, বিরাট আউট হয়ে গেলে ভারতের পক্ষে অস্ট্রেলিয়ার রান তাড়া করে জেতা সম্ভব ছিল না। ওই ক্যাচ যে টার্নিং পয়েন্ট ম্য়াচের, তা অবশ্য মনে করছেন না খোদ বোলার হ্যাজেলউড।

অজি বোলার বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না বিরাটের ক্যাচ মিসটা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ওটা একেবারে শুরুর দিকের একটা ঘটনা। একই সঙ্গে মনে হয় না, ক্যারি ক্যাচটা ধরতে পারত। ওটা মার্শেরই ক্যাচ ছিল। ক্যাচটা মিস করেছে মার্শ। এটা ম্যাচের অনেক ঘটনার একটা। টিমের প্রত্য়েকেই ট্রেনিংয়ে কঠিন প্র্যাক্টিস করে যাতে ওই রকম ক্যাচগুলো ধরা যায়। সব ভুলে আমরা ট্রেনিংয়েই ফোকাস করব।’

এই খবরটিও পড়ুন

হ্যাজেলউড যাই বলুন না কেন, ওই ক্যাচটা মার্শ ধরলে অন্য রকম হত পরিস্থিতি। ১৬৫ রানের পার্টনারশিপ তৈরি হয়েছিল বিরাট আর রাহুলের। যা অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে ম্যাচটা কেড়ে নেয়।

Leave a Reply