হামাস হামলার প্রভাব এ বার ক্রীড়াক্ষেত্রেও!
জেরুজালেম: অবাধে হত্যালীলা চালিয়েছে হামাস (Hamas)। ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের যুদ্ধ ষষ্ঠদিনে গড়াল। হামাস বাহিনীর বিরুদ্ধে চরম নৃশংসতার অভিযোগ এনেছে ইজরায়েল সেনা। তাদের দাবি, শিশুদের মুণ্ড কেটে নিয়েছে হামাস। এমন নৃশংসতার পাল্টা জবাব দিতে হামলাকারী হামাস বাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইজরায়েল সেনা। হামাস বাহিনীর বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়ছে ইজরায়েল সরকার। শাসক ও বিরোধী দলগুলো একত্রিত হয়ে জরুরি সরকার গঠন করেছে। আর এই যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াক্ষেত্রেও। পিছিয়ে গেল ইজরায়েলের ইউরো কোয়ালিফায়ারের ম্যাচ। বৃহস্পতিবারই উয়েফার তরফ থেকে সরকারি বিবৃতি দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হল।
সূচি অনুযায়ী, রবিবার ইউরোর যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে কসোভোর বিরুদ্ধে মাঠে নামার কথা ইজরায়েলের। কিন্তু দেশের সংকটকালীন অবস্থায় মাঠে নামতে পারবে না ইজরায়েল। এই মুহূর্তে ফুটবলারদের দেশের বাইরে ছাড়তে চাইছে না ইজরায়েল সরকার। সেই কারণেই রবিবার প্রিস্টিনায় কসোভো বনাম ইজরায়েল ম্যাচটি স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ইউরোপের ফুটবল পরিচালন সমিতি। ৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গ্রুপ টেবিলের তিন নম্বরে রয়েছে ইজরায়েল। এক এবং দু’নম্বরে আছে সুইৎজারল্যান্ড আর রোমানিয়া। গ্রুপের প্রথম দুটো দল সরাসরি ইউরোর মূলপর্বে পৌঁছে যাবে। সামনের বছরই জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হবে ইউরো কাপ। তবে তৃতীয় হলেও ইউরোর মূলপর্বে খেলার সুযোগ থাকবে ইজরায়েলের কাছে। সেক্ষেত্রে প্লে অফ খেলতে হবে তাদের। কিন্তু প্যালেস্তাইনের হামলায় এই মুহূর্তে জর্জরিত ইজরায়েল।
পরের মাসে আরও দুটো ইউরো কোয়ালিফায়ারের ম্যাচ আছে ইজরায়েলের। নভেম্বরের ১৮ তারিখ ঘরের মাঠে জেরুজালেমে রোমানিয়ার মুখোমুখি হওয়ার কথা ইজরায়েলের। অন্যদিকে ইজরায়েল-কসোভো ম্যাচ হতে পারে ২৩ তারিখ। এখনও পর্যন্ত কখনই ইউরোর মূলপর্বে খেলার ছাড়পত্র পায়নি ইজরায়েল। তবে এ বছর সুবর্ণ সুযোগ আছে তাদের কাছে। আচমকাই হামাসের হামলায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে ইজরায়েলের পরিস্থিতি। এর আগেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছিল ক্রীড়াক্ষেত্রে। শেষ পর্যন্ত ইউরো খেলার ছাড়পত্র ইজরায়েল জোগার করতে পারে কিনা সেটাই দেখার!