আমেদাবাদ: পাকিস্তানের চাচাকে চেনেন? নিশ্চয়ই সমর্থক চাচার কথা ভাবছেন! তিনি তো রয়েইছেন, কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট টিমেও একজন চাচা রয়েছেন। সতীর্থ তাঁকে এই নামেই ডাকেন। ইফতিকার আহমেদ। ভারতের কাছে হারে পাকিস্তান মিডল অর্ডার ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় অন্যতম কারণ। এতে ভূমিকা রয়েছে চায়নাম্যান কুলদীপ যাদবেরও। সাউদ শাকিল এবং ইফতিকার আহমেদের উইকেট নিয়েছেন ভারতের এই বাঁ হাতি রিস্ট স্পিনার। কয়েক সপ্তাহ আগে এশিয়া কাপে সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন কুলদীপ। গত ওডিআই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২ উইকেট নিয়েছিলেন। পাক ব্যাটারদের কী ভাবে ফাঁদে ফেলছেন? খোলসা করলেন কুলদীপ। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
পাকিস্তানকে হারিয়ে ভারতের নজর পরবর্তী ম্যাচে। পাকিস্তান অবশ্য হারের রেশ থেকে বেরোতে পারছেন না। তাঁদের কী ভাবে চাপে ফেলেন? আলাদা কোনও পরিকল্পনা ছিল? কুলদীপ যাদব বলেন, ‘আলাদা কোনও পরিকল্পনা ছিল না। ইফতিকারের বিরুদ্ধে লেগ সাইডে বোলিংয়ের কথাও ভাবিনি। গুগলি দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। তবে বলটা অনেক বাইরে ছিল। ওয়াইড হত। শর্টও ছিল। সে কারণেই সুইপ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে।’
লেগ সাইডের অনেকটা বাইরের বল সুইপ করতে গেলে ইফতিকারের ব্যাটে লেগে বোল্ড হয়। কুলদীপের বোলিংয়ের ধাঁধা বুঝতে না পেরেই যে এই ভুল, সন্দেহ নেই। কুলদীপ বলেন, ‘আমার কাছে এই উইকেটটা লাকি। কেন না, এই ধরনের উইকেট বাকিদের ওপরও চাপ তৈরি করে। পাকিস্তান ব্যাটাররা হাতের পজিশন দেখে আমার বোলিং ধরতেই পারছিল না। সুইপ খেলবে না সোজা ব্যাটে, এই নিয়ে ধন্দে ছিল। সত্যি বলতে, ইফতিকারকে আরও ভালো ভাবে আউট করতে পারলে খুশি হতাম।’
মজার বিষয় হল, সেই ওভারে কুলদীপের বল করার কথাই ছিল না। এর জন্যই হয়তো লাকি উইকেট বলছেন! কুলদীপ নিজেই অধিনায়ক রোহিতকে অনুরোধ করে বল চেয়ে নেন। আর সেই ওভারেই সাউদ শাকিল ও ইফতিকারের উইকেট দুটি নেন কুলদীপ।