প্রত্যাবর্তনেই ম্যাচের সেরা, সামির মন্তব্য মনও জিতবে…


ধরমশালা: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরিতে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন বিরাট কোহলি। সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন সতীর্থদের সঙ্গে। মহম্মদ সামি একাদশে না থাকলেও বাকিদের মতোই সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন। সামি কত বড় টিম প্লেয়ার কারও অজানা নয়। প্রত্যাবর্তনে ম্যাচের সেরা হয়েও তাঁর মুখে শুধুই টিমের কথা। গত দু-তিন বছরে সাদা বলের ক্রিকেটে অটোমেটিক চয়েস নন মহম্মদ সামি। এশিয়া কাপেও সেটা দেখা গিয়েছে। বিশ্বকাপে প্রথম চার ম্যাচে সুযোগ হয়নি। হার্দিক পান্ডিয়া ফিট থাকলে হয়তো ধরমশালায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও বেঞ্চে থাকতেন। তবে সুযোগ পেয়েই বুঝিয়ে দিলেন, কেন তাঁকে সুযোগ দেওয়া উচিত। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশ ম্যাচে অনবদ্য পারফরম্যান্স করলেও জাডেজা ম্যাচের সেরার পুরস্কার পাননি। বিরাট সেঞ্চুরি করায় পুরস্কার হাতছাড়া হয়। ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে কোহলিও দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন জাডেজার জন্য। বলেছিলেন, ‘ওর থেকে ম্যাচের সেরার পুরস্কারটা নিতে খারাপই লাগছে।’ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে যদি বিরাটের সেঞ্চুরিটা হত? কঠিন পরীক্ষা হত। পাঁচ উইকেট নিয়েও হয়তো ম্যাচের সেরার পুরস্কার উঠত না সামির হাতে! শেষ অবধি যোগ্য হিসেবেই পুরস্কার জিতলেন সামি।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রোহিত। নতুন বলে শুরু করেন বুমরা ও সিরাজ। পরিবর্ত বোলার হিসেবে স্পেল শুরু সামির। প্রথম বলেই উইল ইয়ংয়ের উইকেট ছিটকে দেন। ম্যাচে সব মিলিয়ে পাঁচ উইকেট। এর মধ্যে তিনটিই বোল্ড। ম্যাচের সেরা বলছেন, ‘সাইড লাইনে থাকা নিয়ে বেশি মাথা ঘামাইনি। প্রথম ম্যাচ, শুরুতেই উইকেট পাওয়া জরুরি ছিল। এতে আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। আর টিম ভালো খেললে, আমাকে যদি বেঞ্চে বসতে হয়, তাতে কোনও অসুবিধে নেই। সকলেই আমার সতীর্থ। ওরা ভালো পারফর্ম করলে, আমারও উচিত ওদের সমর্থন করা। দলের প্রয়োজনটা আসল।’

Leave a Reply