নয়াদিল্লি: টুক-টুক যখন ছোটে, তখন কি টুক-টুক বলা যায়? প্রাণ মুঠোয় নিয়ে বসে থাকতে হয় অনেক সময়। এই টুক-টুকে চাপার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন বিশ্বকাপ (ICC World Cup 2023) খেলতে ভারতের মাটিতে পা রাখা ইংল্যান্ডের এক ক্রিকেটার। অবশ্য তিনি যতই টুক-টুক বলুন, যে যানে চেপেছিলেন, তাকে অটোই বলা উচিত। কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই সহ ভারতের যে কোনও শহরেই অটোর দাপট বরাবর চর্চার বিষয়। সিগনালের তোয়াক্কা না করা, অতিরিক্ত যাত্রী তোলা, লাগাম ছাড়া গতি— এ সবের জন্যই অটো আলোচনায় উঠে আসে। এ বার সেই অটো চাপার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন বেন স্টোকস (Ben Stokes)। এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন যে, ভারতে এলেও আর কখনও অটোয় হয়তো চাপবেন না স্টোকস। কী ঘটেছিল? TV9Bangla Sportsএ বিস্তারিত।
কোন শহরে এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা অবশ্য খোলসা করেননি স্টোকস। তবে রাস্তার ছবি দেখে মনে হচ্ছে দিল্লি। লিয়াম লিভিংস্টোন, কোচ অ্যান্ডি মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে রাতে টিম হোটেল ছেড়ে বেরিয়েছিলেন স্টোকস। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে অটো চালক তখন গতি বাড়িয়েছেন। বাইক, গাড়ি পর্যন্ত পিছনে পড়ে যাচ্ছে। এমন বিপজ্জনক ভাবে অটো চালাতে দেখে বেশ ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলেন স্টোকস, লিভিংস্টোনরা। তার মধ্যেই আবার ভিডিয়ো তুলেছেন স্টোকস। পরে সেই ভিডিও নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। যা দেখে চোখ কপালে উঠে গিয়েছে অনেকেরই। গত বারের চ্যাম্পিয়ন টিম ইংল্যান্ড এ বার কিছুই করতে পারেনি। পর পর হারে বেশ বিপর্যস্ত। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িতে মরিয়া। তার মধ্যে আবার স্টোকস চোটের কারণে শুরুর দিকে খেলতে পারেননি। চোট কাটিয়ে টিমে ফিরেও খুব একটা নির্ভরতা দিতে পারেননি টিমকে। তার মধ্যেই ঘটেছে এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতা।
কী বলছেন স্টোকস? তাঁর কথায়, ‘আমি আর লিভিংস্টোন বড় চেহারার ক্রিকেটার। আমাদের সঙ্গে আবার ছিল স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ মিচেলও। ও আবার আমাদের থেকেও বড়সড়। কিন্তু টুক-টুক ছোট্ট। পিছনের সিটে আমরা চাপাচাপি করে বসেছিলাম। এতেই ব্যাপারটা শেষ হয়নি। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে আমরা কার্যত উড়ছিলাম। চালক মোটেও স্লো করতে চায়নি। একই গতিতে চালিয়ে গিয়েছে।’ ভয় যে পেয়েছিলেন স্টোকস, তা অবশ্য হাবেভাবেই প্রকাশ করেছেন।