লখনউ: দীর্ঘ ২০ বছর! ২০০৩ সালে ডারবানের পর এ বার লখনউ। ওডিআই বিশ্বকাপে ফের ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে জয় ভারতের। ২০০৭ বিশ্বকাপে গ্রুপেই বিদায় নিয়েছিল ভারত। ফলে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচ হয়নি। পরের বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। লিগ পর্বে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ টাই হয়। ২০১৫ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছিল ইংল্যান্ড। দেখা হয়নি ভারতের সঙ্গে। গত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে অনবদ্য পারফর্ম করলেও ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ভারত। এ বার শুরু থেকেই ছন্দে টিম ইন্ডিয়া। টানা আধডজন ম্যাচে জয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০ বছর পর জিতেও সতর্কবার্তা দিচ্ছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তার কারণও ব্যাখ্যা করলেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ভারতের কাছে সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ! শুরুতে তাই মনে হয়েছিল। এ বারের বিশ্বকাপে একেবারেই ছন্দে নেই ইংল্যান্ড। গত বারের চ্যাম্পিয়নদের কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ সুযোগ ছিল। টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। মাত্র ২২৯ রানেই শেষ ভারতের ইনিংস। জিততে হলে অভাবনীয় বোলিং পারফরম্যান্স প্রয়োজন ছিল ভারতের। সেটাই করে দেখালেন মহম্মদ সামি, জসপ্রীত বুমরা। যোগ্য সঙ্গ দেন কুলীপ ও জাডেজা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়। রোহিতের কথায়, অভিজ্ঞতাই এই ম্যাচে জয় এনে দিয়েছে।
ব্যাটিং এবং নেতৃত্ব। দুই বিভাগেই নজর কেড়েছেন রোহিত। ম্যাচে সেরার পুরস্কারও জেতেন। ভারত অধিনায়ক বলছেন, ‘সঠিক সময়ে সমস্ত অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে। এ বারের বিশ্বকাপে রান তাড়া করেই সাফল্য পেয়েছি। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ি। পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ নয় জানতাম। বোলিংয়ের ওপর ভরসা রয়েছে। লড়াই করার মতো একটা স্কোর প্রয়োজন ছিল। ব্যাটিং ভালো হয়নি। সার্বিক ভাবে মনে হয়েছিল, অন্তত ৩০ রান কম রয়েছে।’
বোলিং বিভাগকে প্রশংসায় ভরিয়ে রোহিত বলেন, ‘এই রান ডিফেন্ড করা সহজ নয়। আমাদের সিমাররা দারুণ বোলিং করেছে। আমাদের টিমে ভারসাম্য রয়েছে। ওদের অভিজ্ঞতাও প্রচুর। তবে ব্যাটিং বিভাগকে আরও ভালো পারফর্ম করতে হবে। তাহলেই বোলাররা এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারবে।’