লখনউ: ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। পারফরম্যান্সেও ফেভারিট ভারত। প্রথম পাঁচ ম্যাচেই জয়। লখনউয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই ধারা বজায় রাখতে মরিয়া টিম ইন্ডিয়া। একদিকে নিজের অনবদ্য ফর্ম, উলটোদিকে দিশেহারা ইংল্যান্ড। এগিয়ে থেকেই নেমেছিল ভারতীয় দল। তবে রান তাড়ার অভ্যাস প্রবল চাপে ফেলেছে! এমনটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক। প্রথম পাঁচ ম্যাচে রান তাড়া করেই জিতেছে ভারত। তেইশের বিশ্বকাপে এই ম্যাচের আগে প্রথমে ব্যাট করতে হয়নি। এ দিন টস জিতে ইংল্যান্ড সেই চ্যালেঞ্জের সামনেই ফেলল টিম ইন্ডিয়াকে। শুরুতেই তিন উইকেট হারানো। রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় রোহিতের উইকেট। সূর্যকুমার যাদবের ভরসার ইনিংস। তাতেও মাত্র ০০০ রান তুলতে পারল ভারত। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
লখনউয়ের এই ভেনুতে প্রথম বার বিশ্বকাপের ম্যাচ হচ্ছে। এই মাঠে হাইস্কোরিং ম্যাচ দেখা যায় না। প্রথম পাওয়ার প্লে-তে ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ের প্রয়োজন ছিল। ভারতীয় দল অতি আগ্রাসী ক্রিকেটেই মনযোগ দিয়েছে গত কয়েক সিরিজে। বিশ্বকাপেও তেমনই দেখা গিয়েছে। প্রথম পাঁচ ম্যাচে রান তাড়ায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে শুরুতে উইকেট হারালেও জিততে সমস্যা হয়নি। লখনউতে প্রথম স্পেলেই ভারতকে প্রবল চাপে ফেলেন ক্রিস ওকস ও ডেভিড উইলি। ওকস টানা সাত ওভারের স্পেল করেন। ১টি মেডেন সহ ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট। উইলি প্রথম স্পেলে ৫ ওভারে ২টি মেডেন, ২০ রান দিয়ে বিরাট কোহলির উইকেট। শুভমন ছাড়া বাকি দুই উইকেটই এসেছে ডট বলের চাপে। ৪০ রানে তিন উইকেট হারায় টিম ইন্ডিয়া।
রোহিত শর্মা-লোকেশ রাহুল ইনিংস মেরামতির চেষ্টা করেন। উইলি নতুন স্পেলে এসেই রাহুলের উইকেট। বেশ কিছু ডট বলের পর বড় শটের চেষ্টায় আউট রাহুল। রোহিত-স্কাই জুটির ওপর ভরসা ছিল। আদিল রশিদের গুগলি বুঝলেও টাইমিং হয়নি রোহিতের। লিয়াম লিভিংস্টোনের অনবদ্য ক্যাচে রোহিতের ইনিংস ইতি। স্টেডিয়ামের নিঃস্তব্ধতাই বলে দিচ্ছিল, এই উইকেট কতটা দামি। ৪০.৩ ওভারে জাডেজার বিরুদ্ধে লেগ বিফোরের আবেদন রশিদের। আম্পায়ার আউট দিতেই দ্রুত রিভিউ নেন জাডেজা। ব্যাট লেগেছে, ধরে নিয়েছিলেন জাড্ডু। যদিও রিভিউতে দেখা যায়, ব্যাট লাগেনি। বলের লাইন লেগ স্টাম্পে হলেও আম্পায়ার্স কলে ফেরেন জাডেজা।
মহম্মদ সামিকে এত দ্রুত ক্রিজে আসতে হবে, এমনটা প্রত্যাশা ছিল না। জাডেজার উইকেটের সঙ্গে ভারতের বড় স্কোরের লক্ষ্য বড় ধাক্কা লাগে। পরের ওভারেই মার্ক উড আক্রমণে। সামি কটবিহাইন্ড হয়ে ফেরেন। রোহিতের ৮৭, সূর্যকুমার যাদবের অনবদ্য ইনিংস। শেষ দিকে বুমরার ব্যাটে বিনোদন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই রানের পুঁজি বিশাল না হলেও মন্থর পিচে যথেষ্ট হতে পারে। টিম ইন্ডিয়ার ভরসা এখন বোলিংই।