এতটা পথ পেরিয়ে বিরাট উপলব্ধি, ‘কোনওদিন ভাবিনি…’


বিশ্বকাপে প্রথম বার খাতা খোলার আগেই আউট। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গত ম্যাচ হৃদয় ভেঙেছিল ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের। অনেকের মাঠে আসা বিরাট কোহলির ব্যাটিং দেখতেও। বিরাট রান না পেলে হতাশ হওয়ারই কথা। এমন প্রত্যাশাই তৈরি করেছেন কিং কোহলি। লখনউতে সমর্থকদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বৃহস্পতিবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুখোমুখি ভারত ও শ্রীলঙ্কা। আরও একটা নস্ট্যালজিক ম্যাচে নামবেন বিরাট কোহলি। এই মাঠেই ২০১১ সালে বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন বিরাট কোহলিও। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ কী করে ভোলেন! এরপর থেকে পেরিয়ে গিয়েছে একটা যুগ। আর এই যুগে বিশ্ব ক্রিকেটে দাপট দেখিয়েছেন বিরাটই। এ বারের বিশ্বকাপেও দুর্দান্ত ছন্দে। ওডিআই ক্রিকেটে সচিন তেন্ডুলকরের শতরানের সংখ্যা ছাপিয়ে যাওয়ার পথে বিরাট কোহলি। সেটা নিয়েই মন্তব্য বিরাটের। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

সব কিছু ঠিক থাকলে ধরমশালায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেই কেরিয়ারের ৪৯তম ওডিআই সেঞ্চুরি হয়ে যেত বিরাটের। দলের প্রয়োজন ছিল ৫ রান। তাঁরও। ছয় মেরে সেঞ্চুরি এবং ম্যাচ ফিনিশ করার চেষ্টায় ছিলেন বিরাট। যদিও ব্য়াটে-বলে ঠিকঠাক সংযোগ হয়নি। ৯৫ রানেই ফিরতে হয়। সচিনের সেঞ্চুরি ছোঁয়া হয়নি। গত ম্যাচে কোনও রান আসেনি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে স্বপ্নের ওয়াংখেড়েতে ৪৯-এর প্রত্যাশা পূরণ হতে পারে। সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বিরাট কোহলি বলেন, ‘আমার এত বছরের কেরিয়ার, রান, সেঞ্চুরি, সাফল্য। কোনও দিন ভাবিনি এতকিছু হতে পারে। স্বপ্ন দেখেছি অনেক। সবকিছু এ ভাবে ঘটবে, সেটা প্রত্যাশা করিনি।’

কিং কোহলি আরও খোলসা করে বলেন, ‘গত ১২ বছরে এত রান, সেঞ্চুরি করব ভাবিনি। আমার একমাত্র ফোকাস ছিল, ভালো পারফর্ম করব। কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে জেতানোর ক্ষেত্রে অবদান রাখব, এটাই চেষ্টা ছিল। সে কারণে জীবনযাপনেও নানা বদল এনেছি। শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করেছি। ইচ্ছেটা বরাবর থাকলেও, শুরুর দিকে আমার মধ্যে পেশাদারিত্বের অভাব ছিল। এখন আমার ফোকাস অনেক বেশি পরিষ্কার।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ২০০৮ সালে। তাঁর সময়ে অনেক ক্রিকেটার এলেও সম্ভাবনা জাগিয়ে হারিয়ে গিয়েছেন। বিরাট মনে করছেন, পরিশ্রম করলে তার মূল্য পাওয়া যায়। বিরাট যে পরিশ্রম করেছেন, এখন তারই মূল্য পাচ্ছেন, এমনটাই মত।

Leave a Reply