বেঙ্গালুরু: সেমিফাইনাল নিশ্চিত। কোনও মিরাকলের মিরাকল না হলে সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। যদিও লিগ পর্বের ম্যাচ এখও শেষ হয়নি। রবিবার লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। এখনও অবধি আট ম্যাচ খেলে একশো শতাংশ জয়ের রেকর্ড ধরে রেখেছে ভারত। ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচের পরদিনই বেঙ্গালুরু পৌঁছয় টিম। বিশ্রাম এবং দু-দিন ঐচ্ছিক অনুশীলনও হয়েছে। তবে শুক্রবারের অনুশীলন যেন অন্য ইঙ্গিত দেয়। শুধুই কি নেদারল্যান্ডস ম্যাচের প্রস্তুতি! তা হয়তো নয়। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আইসিসি টুর্নামেন্টে প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। ভারতের কাছে সুখস্মৃতি নয়। ২০ বছরের ব্যবধানে এ বারের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে ভারত। ধরমশালার সেই ম্যাচের বেশকিছুটা সময় চাপে ছিল ভারত। শেষ অবধি জয়ের হাসি। কিন্তু পরিসংখ্যান! খুব আগে যেতে হবে না। গত বিশ্বকাপ! ইংল্যান্ডে দুর্দান্ত খেলছিল ভারত। লিগ পর্বে রোহিতের পাঁচটি সেঞ্চুরি। একের পর এক জয়। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে ফেভারিট ছিল ভারতই। সেমিফাইনালে সব হিসেব ওলট পালট হয়ে যায়। এ বারও সেমিফাইনালে সেই নিউজিল্যান্ড।
অন্য ফরম্যাটের কথাও যদি বলা যায়, উদ্বোধনী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে ভারত। প্রথম বারই ফাইনালে। কিন্তু সেখানেও ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হার। আইসিসি টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ড যে বরাবরই শক্ত গাঁট এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। তাই নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আগেও টিম ইন্ডিয়ার ভাবনায় সেমিফাইনালে কিউয়িদের সামলানো।
বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বিরাট কোহলিকে বিশেষ অনুশীলনে দেখা গেল। দীর্ঘ সময় বাঁ হাতি স্পিনারকে সামলালেন। শর্ট পিচ ডেলিভারিতেও অনেকটা সময় অনুশীলন করলেন। বেছে নিলেন এমন কয়েকজন পেসারকে যাদের গতি অনেকটাই। হিসেব মেলাতে সমস্যা হয় না। এ বারের বিশ্বকাপে অন্যতম সফল বোলার মিচেল স্যান্টনার। নিউজিল্যান্ডের এই বাঁ হাতি স্পিনারের জন্যই নেটে অনুশীলন। আর শর্টপিচ ডেলিভারি নিউজিল্যান্ড পেসারদের অন্যতম সেরা অস্ত্র। গতির কথা যদি বলতে হয়, কিউয়ি শিবিরে লকি ফার্গুসন রয়েছেন। যিনি ১৫০ কিমি/ঘণ্টায়ও বোলিং করতে পারেন।
স্বভাব বিরুদ্ধ ব্যাটিং অনুশীলনও দেখা যায়। চলতি বিশ্বকাপে কভার ড্রাইভ, ফ্লিক, স্ট্রেট ড্রাইভ, অন ড্রাইভের মতো পরিচিত শটেই প্রচুর রান করেছেন বিরাট কোহলি। হঠাৎ দেখা গেল র্যাম্প শট প্র্যাক্টিস করতে। এক্সপ্রেস গতির নেট বোলারের বিরুদ্ধে এই শটে জোর দিলেন। লকি ফার্গুসনের জন্যই কি এই প্রস্তুতি? হতেই পারে। গতি কাজে লাগিয়ে এই শট ঠিকঠাক খেলতে পারলে রান আসার গ্যারান্টি থাকে বলা যায়।
বিরাটের অনুশীলনের উপসংহারে বলা যায়, সামনে যতই নেদারল্যান্ডস ম্যাচ থাকুক, তাঁর মাথায় ঘুরছে সেমিফাইনাল। এ বার ধরমশালায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন বিরাট। কিন্তু গত বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের সেই ব্যর্থতা ভুলবেন কী করে!