হার্দিক পান্ডিয়া ছিটকে যাওয়ার পর পাঁচ স্পেশালিস্ট বোলার খেলাচ্ছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ষষ্ঠ বোলারের অভাব নিয়ে ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগে হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় মজা করে বলেছিলেন, ‘প্রয়োজন পড়লে আমাদের রংফুটেড ভয়ঙ্কর ইন-সুইং বোলার আছে তো!’ দ্রাবিড়ের ইঙ্গিত ছিল বিরাট কোহলিকে নিয়ে। পুনেতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চোট পেয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর সেই ওভার সম্পূর্ণ করেন বিরাট কোহলি। গ্যালারি আনন্দ পেয়েছিল। প্রয়োজনে তাঁকে বোলিং দেওয়া হবে, এমনটাই বলেছিলেন দ্রাবিড়। গ্যালারি থেকেও বারবার বিরাটকে বোলিংয়ে আনার আব্দার করা হয়েছে। বাংলাদেশ ম্যাচে মাত্র তিন বল করেছিলেন। বেঙ্গালুরুতে কোহলি বোলিংয়ে আসতেই বিরাট গর্জন গ্যালারিতে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে বোর্ডে ৪১০ রান তুলেছে ভারত। ডাচরাও ভারতের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কার তুলনায় ভালো ব্যাটিং করে। পেসারদের বিরুদ্ধে তুলনামূলক ভালো ব্যাটিং করছিলেন ডাচ ব্যাটাররা। তবে ভারতীয় শিবিরে হঠাৎই অস্বস্তি মহম্মদ সিরাজের চোটে। কুলদীপ যাদবের বোলিংয়ে উঁচু ক্যাচ ওঠে। সেটা ঠিকঠাক জাজ করতে পারেননি সিরাজ। বল তাঁর হাতের ফাঁক দিয়ে গলায় লাগে। মাঠ ছাড়তে হয় সিরাজকে। এর মাঝেই গ্যালারির বিরাট প্রাপ্তি।
সিরাজ বেশ কিছুক্ষণ মাঠে না থাকায় বিরাটের হাতে বল তুলে দেন রোহিত। ইনিংসের ২৩ তম ওভারে আক্রমণে কোহলি। প্রথম ওভারে দেন ৭ রান। স্পেলের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলেই উইকেট বিরাট কোহলির। নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস লেগসাইডে কট বিহাইন্ড হন। লোকেশ রাহুলের দুর্দান্ত ক্যাচ। বিরাট কোহলি বিশ্বকাপে উইকেট নিয়েছেন! স্বাভাবিক ভাবেই বেঙ্গালুরুর গ্যালারির পরিস্থিতি অনুমান করা যায়। আইপিএলের সৌজন্যে বেঙ্গালুরু বিরাট কোহলির দ্বিতীয় শহর। সমর্থকদের প্রিয় ক্রিকেটার। বিরাটের সেলিব্রেশনও ছিল দেখার মতো।