রাচিন মুগ্ধতা থেকে বিরাট-রোহিতদের বোলিং, খোলসা করলেন কিউয়ি ক্যাপ্টেন


অভিষেক সেনগুপ্ত

মুম্বই: আর একটা রাত। ঘুম আসবে কি? ভারত-নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটারদেরই শুধু নয়। পরিস্থিতিটা কঠিন ভারতীয় ক্রিকেট অনুরাগীদের জন্যও। বুধবার মুম্বইয়ের সব রাস্তা হয়তো ওয়াংখেড়েমুখী। তেমনই কোটি কোটি চোখ টেলিভিশন এবং মোবাইলের পর্দায়। লিগ পর্বে নয়ে নয়। শীর্ষে থাকা দল হিসেবেই সেমিতে নামছে ভারত। ফর্মের বিচারে ‘আন্ডারডগ’ নিউজিল্যান্ড। কিন্তু আইসিসি টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ড বরাবরই ভারতের বড় বাধা। একটা বিষয়ে দু-দলের বেশ কিছুটা মিল রয়েছে। পার্টটাইম বোলার। নিউজিল্যান্ডের সেই বিকল্প রাচিন রবীন্দ্র, গ্লেন ফিলিপস। ভারতের কি ষষ্ঠ বোলারের অভাব? সব বিষয়েই খোলসা করলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

ভারতকে নিয়ে

দারুণ টিম। কঠিন চ্যালেঞ্জ দেবে। টিম হিসেবে চমৎকার খেলছে। তবে আমরা জানি, এ বারের ফাইনালের জন্য খেলব। আমরা নিজেদের ক্রিকেটেই ফোকাস করব। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ভালো খেলার চেষ্টাই করেছি। খুব কাছে গিয়েও কয়েকটা ম্যাচ জিততে পারিনি। সে সব ভুলে সেমিফাইনালের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য তৈরি।

সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে

বিশেষ প্লেয়ার। দারুণ স্ট্রোক মেকার। মিডল অর্ডার বা লোয়ার অর্ডারে নেমে ও নিজের ছন্দেই খেলেছ। এই মাঠটা ও খুব ভালো করে চেনে। ফলে স্বাভাবিক ছন্দেই খেলতে দেখা যাবে ওকে।

ক্যাপ্টেনের চোট কাহিনি

খুব আকর্ষণীয় গল্প বলা যেতে পারে। লম্বা চোটের কারণে বিশ্বকাপের শুরুতে নামতে পারিনি। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের পর আবার বুড়ো আঙুল ভেঙেছিল। আবার ফিরেও এসেছি। আমি বাস্তবটা মেনে নিয়েছিলাম। তবে বেশ হতাশাজনক ব্যাপার। সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে যে আমি পুরোপুরি ফিট আছি, এটাই ভালো দিক।

ষষ্ঠ বোলারের অভাব

সব টিমই ষষ্ঠ বোলারের অভাব অনুভব করছে। হার্দিকের চোটে ভারতীয় বোলিং ভারসাম্যে কিছুটা তো ঘেঁটেইছে। ষষ্ঠ বোলারের খামতি পূরণ করার আপ্রাণ চেষ্টা সব টিম চালিয়ে যাচ্ছে। টিম হিসেবে পারফর্ম করেই সেই ঘাটতি পূরণ করতে হবে।

রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে মুগ্ধতা

অসাধারণ খেলছে ছেলেটা। খুব সহজেই বড় মঞ্চ নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ও নিজেকে প্রমাণ করেছে আগেই। তবে বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে ও যে ভাবে সেরাটা দিয়েছে, ভীষণ স্পেশাল একটা ব্যাপার। ও দারুণ প্রতিভাবান প্লেয়ার। ওর যে পরিমাণ রান করেছে, ওই পরিমাণ রান করার জন্য যে তাগিদ দেখিয়েছে, সবটা ওকে অন্যতম সেরা করে তুলেছে। মাত্র ২৩ বছরে এই রকম পারফর্ম করাটা সত্যিই অসাধারণ। আরও রান অপেক্ষা করে রয়েছে রাচিনের জন্য।

চার বছর আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে?

আগের বারের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের থেকে এ বারের বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খানিকটা হলেও অন্য রকম হবে। দু’দিনের বদলে একদিনেই নিষ্পত্তি হবে। পরিবেশও অন্য রকম। তবে দুটো টিমই কিন্তু সেরাটা দেওয়ার জন্য মাঠে নামবে। দুটো টিমই ওই ফর্ম্যাটে প্রচুর ক্রিকেট খেলেছে। ম্যাচের দিন কে কেমন খেলছে, সেটার উপর নির্ভর করবে অনেক কিছু।

ওয়ান ডে ভবিষ্যৎ

এ বারের বিশ্বকাপ ভালো সাড়া পেয়েছে কিনা, বলা মুশকিল। কিন্তু এই রকম টুর্নামেন্ট খেলা যে কোনও প্লেয়ারের কাছে স্পেশাল। ফর্ম্যাট যাই হোক না কেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণেই ওয়ান ডে ক্রিকেট নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। তবে টি-টোয়েন্টির সঙ্গে একটা ভারসাম্য তৈরি করা দরকার। সেটা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে লোকে কী পছন্দ করে, সেটাই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণেই ভারসাম্য তৈরি করা দরকার।

৩৩ হাজারি ওয়াংখেড়ে

আশা করছি, বুধবার পুরো স্টেডিয়ামই ভারতকে সমর্থন করবে। তবে প্লেয়ার হিসেবে এমন ক্রিকেট প্রেমীদের সামনে খেলাটা একটা বাড়তি মোটিভেশন তো বটেই। স্পেশালও বলতে পারেন। দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেট খেলছি। জানি, সব সময় গ্যালারির সমর্থন পাওয়া যায় না। ছোট দেশের নাগরিক হিসেবে এটা পাওয়াও সম্ভব নয়। ভারতের মাটিতে ভারতেরই বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলা সব সময় স্পেশাল কিছুই হয়।

Leave a Reply