নয়াদিল্লি: বিশ্বকাপে ভরাডুবি। বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচে হার। বিশ্বকাপের (ICC ODI World Cup 2023) ইতিহাসে এমন খারাপ পরিস্থিতিতে কখনও দেখা যায়নি পাকিস্তানকে।খালি হাতে দেশে ফিরেছে গ্রিন আর্মিরা। বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্সের পর্যালোচনার জন্য ইতিমধ্যেই নতুন কমিটি গড়ার কাজ শুরু করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এরই মাঝে বুধবার রাতে সব রকম ফরম্যাট থেকে নেতৃত্ব ছেড়েছেন বাবর আজম (Babar Azam)। এ বার হোয়াটঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস বিতর্কে আইনি ব্যবস্থা নিতে চলেছেন বাবর। কী সেই হোয়াটসঅ্য়াপ চ্যাট বিতর্ক? এর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিতে চলেছেন বাবর? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বিশ্বকাপে একের পর এক হারের পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নিয়ে। বাবারকে সরিয়ে কাকে দেওয়া হবে নতুন দায়িত্ব তার ব্লু প্রিন্টও তৈরি করে ফেলেছিল পিসিবি। বাবরকে নিয়ে যখন ক্রিকেটমহলে জল্পনা তুঙ্গে তখন, পাক কিংবদন্তী রশিদ লতিফ গণমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, বাবরের সঙ্গে কথা বলছেন না জাকা আশরাফ। এমনকি তাঁর মেসেজের উত্তর পর্যন্ত দিচ্ছেন না আশরাফ।এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সালমান নাসির বাবরকে প্রশ্ন করেছিলেন যে বাবর সত্যিই আশরাফের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন কি না। বাবরের সঙ্গে সলমনের এই সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সম্প্রচার করে এক পাক সংবাদমাধ্যম । এ বার এই বিষয়ে এ বার নড়েচড়ে বসেছেন বাবর। ব্যক্তিগত চ্যাট ফাঁস হওয়ার অভিযোগে সংবাদমাধ্য়মের বিরুদ্ধে প্রাসঙ্গিক আইনি ব্যবস্থা নিতে চান বাবর।
জানা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের কিছুজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চলেছেন বাবর। ইতিমধ্য়েই নিজস্ব আইনজীবীর সঙ্গে এ ব্য়াপারে কথা বলেছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমে সঞ্চালক স্বীকার করেছেন যে, তাঁদের তরফেই এই ব্য়ক্তিগত চ্য়াট সম্প্রচার করা হয়েছে। জাতীয় টেলিভিশনে কেন এই ধরনের ব্যক্তিগত চ্যাট ফাঁস করা হল? এই নিয়ে আগেই উঠেছিল প্রশ্ন। এ বার দেশে ফিরে ঠান্ডা মাথায় এই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিলেন বাবর।