অভিষেক সেনগুপ্ত
ওয়াংখেড়ের একটা মুহূর্ত যেন বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠছে। মহম্মদ সামি উইকেট নিতেই তাঁকে কোলে তুলে নিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এমন অনেক মুহূর্তই মনে রাখার মতো। বিশেষ করে মহম্মদ সামিকে নিয়ে। এই বিশ্বকাপ ব্যাটিংয়ে যদি বিরাট কোহলির হয়, বোলিংয়ে নিঃসন্দেহে মহম্মদ সামির। পার্থক্য একটাই, বিরাট অটোমেটিক চয়েস, সামি তা নন। প্রথম চার ম্যাচে সুযোগই পাননি। তাতে অবশ্য সামির মধ্যে কোনও আক্ষেপ ছিল না। নিজেকে প্রস্তুত রেখেছেন সুযোগের জন্য। লিগ পর্বে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রত্যাবর্তনেই পাঁচ উইকেট। টানা দশ ম্যাচ জিতেছে ভারত। সামি খেলেছেন ৬ ম্যাচে। ঝুলিতে ২৩ উইকেট। ফাইনালের আগে সামিকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সকলের কাছেই যেন অনুপ্রেরণা সামি। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে লিগে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পরই সামিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। একাদশে সুযোগ না পাওয়ার সময় নিজেকে কীভাবে সামলেছেন? সামি জানিয়েছিলেন, তিনি সুযোগ পাচ্ছেন কিনা, তার চেয়েও জরুরি দলের পারফরম্যান্স। দল ভালো খেললে সতীর্থদের জন্য উচ্ছ্বসিত হন। ফাইনালের আগে রোহিতও তেমনই জানালেন। সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘বিশ্বকাপের শুরুর দিকটা ওর জন্য খুবই কঠিন ছিল। তবে একজন সিনিয়র বোলার হিসেবে ও সবসময় সিরাজ, বুমরাকে সাহায্য করে গিয়েছে। এটাতেই ওর দক্ষতা ধরা পড়ে। ও কত বড় টিম-ম্যান প্রতিটা মুহূর্তে দেখিয়েছে।’
সামিকে নিয়ে বলতে গিয়ে শ্রদ্ধা রোহিতের গলায়। আরও বলেন, ‘ও কেন সুযোগ পাচ্ছে না, সেটা নিয়েও পরিষ্কার বার্তা দেওয়া ছিল। সামি হয়তো ভাবতেই পারতো ওর বিশ্বকাপ শেষ। ও সেটা করেনি। মাঠের বাইরে নিজেকে প্রতিনিয়ত প্রস্তুত রেখেছে। সকলের মতোই অনুশীলন করে গিয়েছে। সুযোগ পাওয়ার পর ও দেখিয়ে দিয়েছে কী করতে পারে। ও মানসিক ভাবে কোন জায়গায় ছিল, সবটাই বোঝা যায়। একাদশে সুযোগ না পাওয়া মেনে নেওয়া সহজ নয়। টিম গেমে এটা মেনে নিতেই হয়। সবাইকে সুযোগ দেওয়া সম্ভব নয়।’
একাদশে দূর অস্ত টিমে না থাকার জ্বালা খুব ভালোই জানেন রোহিত শর্মা। ২০১১ সালে ঘরের মাঠেই শেষ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। তার অনেক আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রবেশ রোহিত শর্মা। তবে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সে বার জায়গা করে নিতে পারেননি। আর তেইশের বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বেই তৃতীয় ট্রফির স্বপ্ন দেখছে ভারত।