বিরাট কোহলির টানে মাঠে সমর্থক, দিলেন প্যালেস্তাইনে বোমাবর্ষণ বন্ধের বার্তাImage Credit source: PTI
আহমেদাবাদ: নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে গুরুতর নিরাপত্তা লঙ্ঘন। মাঠে ঢুকে পড়লেন প্যালেস্তিনীয় সমর্থক। প্য়ালেস্তাইনের পতাকার রঙে সজ্জিত ওই ব্যক্তি মাঠে ঢুকে প্যালেস্তাইনে বোমা বর্ষণ বব্ধের বার্তা দেন। সেই সময় ২২ গজে ব্যাট করছিলেন বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুল। ওই ব্যক্তি মাঠে ঢুকে কোহলিকে জড়িয়ে ধরেন। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা সেখানে এসে তাঁকে মাঠের বাইরে সরিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু, ওই প্যালেস্তিনীয় সমর্থকের জন্য বেশ কয়েক মিনিট বন্ধ রাখতে হয় খেলা।
সোশ্ঠযাল মিডিয়ায় এই ঘটনার বেশ কিছু ছবি ও ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সাদা টিশার্ট এবং লাল শর্টস পরা ওই ব্যক্তি আচমকা মাঠে ঢুকে পড়েন। তাঁর মুখে ছিল ফেসমাস্ক। সেই ফেসমাস্ক ছিল প্যালেস্তিনীয় পতাকার রঙের। তাঁর হাতে আবার ছিল রামধনু রঙের সমকামী পতাকা। গায়ের সাদা টিশার্টের বুকে ছিল গাজা ভূখণ্ডে বোমাবর্ষণের একটি কার্টুন আঁকা। সেই সঙ্গে লেখা, ‘স্টপ বম্বিং প্যালেস্তাইন’, অর্থাৎ, ‘প্যালেস্তাইনে বোমা ফেলা বন্ধ কর’। আর পিছন দিকে ছিল ফ্রি প্যালেস্তাইন, অর্থাৎ, স্বাধীন প্যালেস্তাইন রাষ্ট্র গড়ার বার্তা।
Fan disturb Virat… #Worldcupfinal2023 #ViratKohli???? #fan #INDvsAUSfinal pic.twitter.com/xLWz5BqZ2g
— Syed890 (@Syed8901) November 19, 2023
মাঠে ঢুকে তিনি বিরাট কোহলির কাঁধে হাত রাখেন, তাঁকে আলিঙ্গন করার চেষ্টা করেন। দৃশ্যতই বিরক্ত বিরাট, সেখান থেকে সরে যান। এরপর, মাঠের নিরাপত্তাকর্মীরা ওই ব্যক্তিকে ধরে মাঠ থেকে বের করে দেন। ওই ব্যক্তির প্রকৃত উদ্দেশ্য কি ছিল, জানা যায়নি। তবে, বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে এই নিরাপত্তা সংক্রান্ত গাফিলতি, একেবারেই অনভিপ্রেত। এর থেকে গুরুতর সমস্যা তৈরি হতে পারত।
এর আগেও অবশ্য বিশ্বকাপের মাঠে প্যালেস্তাইনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচেই গ্যালারি থেকে প্যালেস্তাইনের পতাকা উড়িয়ে প্যালেস্তিনীয়দের প্রতি সমর্থনের বার্তা দিয়েছিলেন দুই দর্শক। সেই যাত্রায়, পুলিশ তাদের মাঠ থেকে বের করে দিয়েছিল। প্যালেস্তিনীয়দের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের জন্য কেন তাদের বের করে দেওয়া হল, এই প্রশ্নও উঠেছিল।
গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে আচমকা হামলা চালিয়েছিল প্যালেস্তিনীয় যোদ্ধা গোষ্ঠী হামাস। তারপর থেকে এক মাসের বেশি সময় ধরে গাজা ভূখণ্ডে সমানে বোমা বর্ষণ করে চলেছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী। বর্তমানে তারা সেখানে স্থলপথেও সামরিক অভিযান শুরু করেছে। অসামরিক প্যালেস্তিনীয় নাগরিকদের মৃত্যুর সংখ্যা ১২ হাজার ছাপিয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই শিশু। ভারত সরকারের পক্ষ থেকেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে অসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু এড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।