রাতে ম্যাচ, তার আগে ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে যা বললেন ডার্বিতে গোল করা নন্দকুমার…


কলকাতা: মরসুমের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে সেরা প্রাপ্তি ছিল ডার্বি জয়। টানা আটটি ডার্বিতে হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপে এ মরসুমের প্রথম ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। টানা আটটি ডার্বি হারের পর অবশেষে জয়। সেই ম্যাচে গোল করে ইস্টবেঙ্গলের নায়ক হয়ে উঠেছিলেন নন্দকুমার সেকার। যদিও ডুরান্ড কাপ ফাইনালে ফের ডার্বি এবং সেখানে হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপ রানার্স থেকে আইএসএল। পারফরম্যান্সে উন্নতি হলেও রেজাল্ট ভালো হচ্ছে না ইস্টবেঙ্গলের। আজ রাতে আইএসএলে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে নামছে লাল-হলুদ। টানা হারে ক্লান্ত। ঘরের মাঠের সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। তার আগে এ মরসুমে ইস্টবঙ্গলের ডার্বি জয়ের নায়ক নন্দকুমার যা বলছেন, বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

গত মরসুমে হায়দরাবাদ এফসির হয়ে দুরন্ত খেলেছেন নন্দকুমার। এ মরসুমেই কলকাতা ফুটবলে অভিষেক। বাংলা এবং কলকাতার ফুটবল উন্মাদনায় মুগ্ধ তামিলনাডুর এই ফুটবলার। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ওয়েবসাইটে এক সাক্ষাৎকারে নন্দকুমার বলেন, ‘অন্যান্য শহরের চেয়ে কলকাতার ফুটবল সংস্কৃতি পুরোপুরি আলাদা। সকলেই ফুটবল পাগল। খেলা দেখে। বিপুল সমর্থনের কারণেই ফুটবলারদের ওপর স্বাভাবিক ভাবে চাপও বেশি। তবে আমার কাছে এটা একটা বড় সুযোগ। ইস্টবেঙ্গল ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। লাল-হলুদের অংশ হয়ে উঠতে পেরে গর্বিত। কলকাতার এই ফুটবল সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা হচ্ছে। রোমাঞ্চিত এবং আমি খুব খুশিও। ফুটবলার হিসেবে সমর্থকদের আবেগ অনুভব করতে পারি। প্রিয় ক্লাবের সঙ্গে গভীর ভাবে জড়িত সমর্থকরা।’

ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি নন্দকুমারের। এখানকার ফুটবল সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার সুযোগ যে আরও পাবেন, বলাই যায়। হায়দরাবাদ এফসিতে তাঁর চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স দেখেই সই করান ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ডার্বিতে গোল করে কুয়াদ্রাতের ভরসা যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। বড় ম্যাচ থেকে তারকার জন্ম হয়। সেই ম্যাচ থেকে ইস্টবেঙ্গলের নায়ক হয়ে উঠেছিলেন। নিজেও সেই মুগ্ধতা থেকে বেরোতে পারছেন না। নন্দকুমার বলেন, ‘ডার্বিতে গোল করে দারুণ অনুভূতি হয়েছিল। আমার কেরিয়ারের অন্যতম সেরা মুহূর্ত ছিল সেটা। ডার্বিতে গ্যালারির পরিবেশ একেবারেই অন্যরকম ছিল। চার বছর পর ডার্বি জয়ের উচ্ছ্বাস। ম্যাচের পর সমর্থকদের যে ভালোবাসা পেয়েছিলাম, আজীবন মনে থাকবে।’

Leave a Reply