অভিষেক বচ্চন, সায়ামি খের অভিনীত ‘ঘুমর’ সিনেমাটা দেখেছেন? ‘মেন্টর’ অভিষেক বচ্চনের ছোট্ট একটা পরামর্শ আমূল পরিবর্তন এনেছিল স্পিনার অনিনার। জসপ্রীত বুমরাকে যেন সেই ‘ঘুমর’ স্টাইলেরই গতি বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন বিশ্বের জ্যাভলিন আইকন নীরজ চোপড়া। সামনেই ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। ভারতীয় দলের পেসার জসপ্রীত বুমরার কাছে এই সফর আলাদা গুরুত্ব রাখে। দক্ষিণ আফ্রিকাতেই টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল বুমরার। তার আগে অবধি বুমরাকে স্রেফ সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই স্পেশালিস্ট বলা হত। টেস্ট ক্রিকেটে সেই যে পা রাখা, ভারতীয় দলের পেস আক্রমণের প্রধান মুখ এখন বুমরাই। তেমনই দেশ এবং বিশ্বের অন্যতম পছন্দের ক্রীড়াবিদ নীরজ চোপড়ার সবচেয়ে পছন্দের পেসার জসপ্রীত বুমরাই। তাঁর জন্য বিশেষ পরামর্শ নীরজের। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
প্রথমে যাওয়া যাক সিনেমা প্রসঙ্গে। অনিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন সায়ামি খের। তিনি ব্যাটার। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনবদ্য পারফরম্যান্সের জেরে জাতীয় দলে জায়গা করে নেন। কিন্তু নীল জার্সিতে অভিষেকের আগেই অনিনার জীবনে দুর্ঘটনা। তাঁর ডান হাত বাদ দিতে হয়। মেন্টর প্যাডি স্যারের (অভিষেক বচ্চন) কথায় ক্রিকেটে নতুন করে দিক খুঁজে পান অনিনা। হয়ে ওঠেন বাঁ হাতি স্পিনার। কিন্তু এক হাত না থাকায় গতির হেরফের করতে পারছিলেন না। অনিনা যে গতিতে স্পিন বোলিং করছেন, তাতে উইকেট পাওয়া সম্ভব নয়। প্রয়োজন ছিল দ্রুত গতিতে বল টার্ন করানোর দক্ষতা। বোলিং অ্যাকশনে ছোট্ট একটা পরিবর্তনে সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসেন অনিনা।
এ বার আসা যাক বাস্তবে। জসপ্রীত বুমরা বিশ্বের অন্য়তম সেরা পেসার। তাঁর বোলিং অ্যাকশন ব্যতিক্রমী। ছোট্ট রান আপ। ঠিক পেসারদের মতো নয়। সেটাও হয়েছিল বিশেষ কারণে। যে অ্যাকাডেমিতে তাঁর ক্রিকেট শুরু, সেখানে রান আপের জায়গা কম ছিল। সে কারণেই বুমরার ছোট্ট রান আপ। তাতেও ব্যতিক্রমী অ্যাকশনে গতি বাড়াতে শিখেছেন বুমরা। সেই অ্যাকশনেই দিতে পারেন নিখুঁত ইয়র্কার। যা বিশ্বের তাবড় ব্যাটারদের জমি ধরানোর জন্য যথেষ্ঠ। বুমরা আরও গতি বাড়াতে পারেন বলেই বিশ্বাস নীরজের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আইডিয়া এক্সচেঞ্জ অনুষ্ঠানে ভারত-অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ ফাইনালের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন নীরজ। পছন্দের পেসার বুমরাকে নিয়েও বিশেষ পরামর্শ দেন। নীরজের বিশ্বাস বোলিং অ্যাকশনে সামান্য বদল বুমরাকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলতে পারেন। এ বিষয়ে জ্যাভলিনকেই উদাহরণ দিচ্ছেন নীরজ। জ্যাভলিন থ্রোয়াররা অনেকটা দৌড়ে এসে থ্রো করেন। পেসারদের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এই রান-আপ। নীরজ বলেন, ‘বুমরা আমার ফেভারিট পেসার। ওর অ্যাকশন ব্যতিক্রমী।’
তেইশের বিশ্বকাপে ২০ উইকেট নেওয়া বুমরা প্রসঙ্গে নীরজের বিশ্লেষণ, ‘আমার মনে হয় ওর বোলিং রান আপ বাড়ানো উচিৎ। তা হলে বলের গতিও বাড়বে। একজন জ্যাভলিন থ্রোয়ার হিসেবে আমরাও আলোচনা করি কী ভাবে কোনও বোলার গতি বাড়াতে পারে। আমাদর যেটা পর্যবেক্ষণ, ও রান আরও বাড়ালে গতিও বাড়বে। বোলিংয়ের ধরন দুর্দান্ত।’