সচিনের অনবদ্য হাফসেঞ্চুরি, মরিয়া লড়াইয়েও পাকিস্তানের কাছে হার ভারতের


দুবাই: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই রুদ্ধশ্বাস। অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে সুপার সান ডে-তে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। যুব দলের খেলা হলেও এই ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। কয়েক মাস আগে এমার্জিং এশিয়া কাপ, এরপর ওয়ান ডে বিশ্বকাপেও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছিল। এমার্জিং এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে হারালেও ফাইনালে হেরেছিল ভারত। সিনিয়র ওয়ান বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়েছিল রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের কাছে ৮ উইকেটে হার। যদিও ফল দেখে ম্যাচের রোমাঞ্চ বোঝা যাবে না। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

দুবাইতে আইসিসি ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় পাকিস্তান। দিনের ম্য়াচ। শুরুর দিকে সুইং ছিল। সতর্ক শুরুর প্রয়োজন ছিল ভারতের। ৩০ ওভার অবধি কোনও সমস্যাই মনে হয়নি। আদর্শ সিং ও অধিনায়ক উদয় সাহারনের হাফসেঞ্চুরি ভারতকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল। একটা সময় ভারতের স্কোর ছিল ১৩৯-২। কিন্তু পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। লোয়ার অর্ডারে অনবদ্য ইনিংস সচিন দাসের। মাত্র ৪২ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ অবধি নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রান করে ভারত। নেপালের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটের পর ভারতের বিরুদ্ধে ৪ উইকেট মহম্মদ জিশানের।

রান তাড়ায় শুরুতেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। যদিও দ্বিতীয় উইকেটে ১১০ রান যোগ করেন শাজিব খান ও আজান। অবশেষে জুটি ভাঙেন অভিষেক মুরুগান। কিন্তু লাভ হয়নি। আজানের অপরাজিত সেঞ্চুরি এবং পাক অধিনায়ক সাদ বেইগের অপরাজিত ইনিংস ৩ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছয় পাকিস্তান। ডট বলে চাপ তৈরির চেষ্টা হলেও সফল হয়নি ভারত।

ম্যাচ শেষে ভারত অধিনায়ক উদয় সাহারন বলেন, ‘সকালের দিকে সুইং হচ্ছিল। আমরা দ্রুত উইকেট হারাই। তবে মনে হয়েছিল, ২৬০ ভালো স্কোর। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্য়াটিংয়ের জন্য সুবিধা হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের বোলাররা মরিয়া চেষ্টা করেছে। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে চাই। আগামী ম্য়াচগুলিতে ভালো খেলতে হবে। যে ভাবে ব্যাটাররা খেলছিল, মনে হয়নি আমরা দ্রুত তিন উইকেট হারিয়েছিলাম।’

Leave a Reply