‘বিরাটের আর প্র্যাক্টিসের প্রয়োজন নেই’, বলছেন কোচ!


কলকাতা: দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাঝে হঠাৎই দল ছেড়েছিলেন বিরাট কোহলি। ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে টানা দশ ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল ভারত। টুর্নামেন্টে সর্বাধিক রান বিরাট কোহলির। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার। আগের সব সাফল্যই সবরমতীর জলে। বিশ্বকাপ ফাইনালের পর থেকে ছুটিতেই ছিলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার মতো তারকা ক্রিকেটাররা। লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। তার মাঝেই বিরাটের ফের দল ছাড়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিন ভারতের টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর নানা প্রশ্ন উঠল। সামলালেন ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

সেঞ্চুরিয়নে শুরুটা ভালো করেছিলেন বিরাট কোহলি। তাঁর ক্যাচও পড়ে। সেট হয়েছিলেন। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে, বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে যে সেট হওয়া যায় না, ভালো ভাবেই টের পেলেন বিরাট কোহলি। প্রতিটা বলেই যেন প্রথম থেকে শুরু করতে হয়। মনসংযোগে একটু ব্যাঘাত ঘটলেই বিপদ। বিরাটের ক্ষেত্রেও কার্যত তাই হল। ৩৮ রানে ফিরলেন বিরাট।

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভারত কখনও টেস্ট সিরিজ জেতেনি। তাই এ বার প্রস্তুতিতে বাড়তি জোর দিয়েছিল ভারতীয় দল। নিজেদের মধ্যে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও হয়েছিল। যদিও বিরাট কোহলি সে সময় ছুটিতে ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে পাড়ি দিয়েছিলেন। সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের আগের দিনের ঐচ্ছিক অনুশীলন বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল। বলা যায়, পুরো টিমের সঙ্গে মাত্র একদিন অনুশীলন করেছিলেন বিরাট কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকার পিচ, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে কি সেটাই যথেষ্ঠ?

বিরাট যে ভাবে ব্যাট করছিলেন, স্বস্তিতে ছিল ভারতীয় দল। কাগিসো রাবাডার লেট সুইং অস্বস্তিতে ফেলছিল বিরাট কোহলিকে। তাঁর বোলিংয়ে কট বিহাইন্ড হন। ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর অবশ্য বলছেন, ‘বিরাট এখন কেরিয়ারের যে পর্যায়ে রয়েছে, আমার মনে হয় না ওর প্রচুর প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। ও প্রচুর ব্যাটিং করেছে। বাকিদের তুলনায় কম প্রস্তুতি নিলেও সেটা কোনও ব্যাপার নয়। ও কতটা ভালো ব্যাটিং করছিল, সকলেই দেখেছে। দেখে মনেই হয়নি, গত ৫-৬ মাস লাল বলে খেলেনি।’

Leave a Reply