কলকাতা: বক্সিং ডে টেস্টে ক্রমশ ব্যাকফুটে ভারত। প্রথম ইনিংসে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। ভারতীয় ব্যাটিংয়ে ভরসা দেওয়ার ইনিংস লোকেশ রাহুলের। তাতেও অবশ্য ২৪৫ রানেই শেষ ভারতের ইনিংস। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ইতিমধ্যেই ৩৯২ রান তুলে নিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ১৪৭ রানের বিরাট লিডে সহযোগিতা রয়েছে ভারতীয় বোলিং ফিল্ডিংয়েরও। যার আরও একটা উদাহরণ দেখা গেল তৃতীয় দিন লাঞ্চ বিরতির ঠিক আগেই। ক্যাচ ফেললেন শুভমন গিল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
সেঞ্চুরিয়নের পিচে পেস বাউন্স রয়েছে। তবে ধৈর্য ধরে ব্যাটিং করলে বোলারদের চাপ বাড়তে বাধ্য। সেটাই করেছেন ডিন এলগার। দ্বিতীয় দিনের শেষে ১৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। শর্ট পিচ ডেলিভারিতে তাঁকে বিব্রত করার মরিয়া চেষ্টা করেন ভারতীয় পেসাররা। অবশেষে শর্ট পিচেই এসেছে উইকেট। লেগ সাইডে কট বিহাইন্ড হন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক ডিন এলগার। ১৮৫ রানের বিশাল ইনিংস তাঁর ব্যাটে। এলগারের সঙ্গে বড় পার্টনারশিপ গড়েন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মার্কো জানসেন।
ভালো বোলিং করেও সব সময় উইকেট পাওয়া যায় না। ফিল্ডারদের সঙ্গও প্রয়োজন হয়। মার্কো জানসেন লাঞ্চ বিরতিতে ৭২ রানে অপরাজিত রয়েছেন। কোৎজে ১৯ রান করেন। তাঁকে ১২ রানে ফেরানোর সুযোগ এসেছিল। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বোলিংয়ে স্লিপে ফিল্ডিং করছিলেন শুভমন গিল। অশ্বিনের বলে রিভার্স সুইপ খেলেন কোৎজে। যদিও ঠিকঠাক সংযোগ হয়নি। বল যায় স্লিপে। শুভমন গিল আগে থেকেই বাঁ দিকে সরছিলেন। শেষ মুহূর্তে বুঝতে পারেন, ডানদিকে সরতে হবে। শট দেখে আগে থেকে মুভ না করলে হয়তো সমস্যায় পড়তেন না। ডান দিকে সরে হাতে বল নিলেও জমাতে পারেননি শুভমন।
পুরো ইনিংসেই বেশ কিছু ক্ষেত্রে হতাশ করেছে ফিল্ডিং। তার ওপর এই ক্যাচ মিসে মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি অশ্বিন। লাঞ্চের আগে যদিও অশ্বিনই পেসার জেরাল্ড কোৎজের উইকেট নেন। মিড অফের ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। মিড অফেই ক্যাচে ফেরেন কোৎজে। তবে যে কারও ক্যাচ মিস যে ভারতের জন্য় চাপের হতে পারে, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। কারণ, প্রোটিয়াদের লিড ক্রমশ বাড়ছেই।