জিতে গ্যালারি তাতালেন প্রীতম, হারের হ্যাটট্রিকে কী বলছেন ফেরান্দো?


কলকাতা: একটা সময় পুরো গ্যালারি তাঁর দখলেই থাকতো। যুবভারতীতে মোহনবাগান ম্যাচ থাকলে ক্যাপ্টেন প্রীতম কোটালের জন্য গ্যালারি গলা ফাটাবে এমনই তো স্বাভাবিক। এ মরসুমে কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে সাহাল আব্দুল সামাদকে সই করায় মোহনবাগান। পরিবর্তে প্রীতম কোটালকে সই করতে হয় কেরালা ব্লাস্টার্সে। এক রাশ অভিমান নিয়ে মোহনবাগান ছেড়েছিলেন প্রীতম। বাস্তবটা মেনে নিয়েছেন। এখন কেরালা ব্লাস্টার্সই তাঁর টিম। মোহনবাগান সমর্থকদের মনে প্রীতমের জন্য সম্মান কিন্তু এক বিন্দুও কমেনি। যুবভারতীতে মোহনবাগানের হোম ম্যাচে গ্যালারিতে দেখা গেল কেরালা ব্লাস্টার্সেরও প্রচুর সমর্থক। ম্যাচ শেষে যা বললেন প্রীতম ও মোহনবাগান কোচ। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

এই ম্যাচের আগে পরিসংখ্যান ছিল, কেরালা ব্লাস্টার্স কোনও দিন মোহনবাগানকে হারাতে পারেননি। এ বারই প্রথম মোহনবাগানকে হারাল কেরালা। তাও আবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। সেই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন প্রীতমও। জয়ের হ্যাটট্রিকে আইএসএলের পয়েন্ট টেবলে আপাতত শীর্ষস্থানে কেরালা ব্লাস্টার্স। ম্যাচ শেষ হতেই গ্যালারি তাতালেন প্রীতম কোটাল। সেখানে কেরালা ব্লাস্টার্স সমর্থকরাই ছিলেন। আসলে এটা যেন মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্টকেও জবাব দেওয়া। ম্যাচ শেষে প্রীতম বলেন, ‘ইন্ডিয়ান সুপার লিগে কোনও দলই শক্তিশালী কিংবা দুর্বল নয়। সকলেই সমান। আমাদের লক্ষ্য ধারাবাহিক ভালো খেলা। এখনই চ্যাম্পিয়ন হওয়া বা এসব নিয়ে ভাবছি না। ধারাবাহিক ভালো খেলে যেতে হবে।’

মোহনবাগান শিবিরে উল্টো চিত্র। দু-ম্যাচ হেরে বিধ্বস্ত ছিল সবুজ মেরুন। এ বার কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে হার। বছর শেষ হল হারের হ্যাটট্রিক দিয়ে। আইএসএলের ইতিহাসে প্রথম বার টানা তিন ম্যাচে হার। মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দো বলেন, ‘যতক্ষণ না চোট থাকা ফুটবলাররা ফিট হয়ে ফিরছেন, আমাদের এই দুঃসময় কাটবে না।’

এ বারের আইএসএলের শুরু থেকে সাত ম্যাচ অপরাজিত ছিল মোহনবাগান। এরপর হারের হ্যাটট্রিক। হঠাৎ কী করে একটা দলের এতটা অবনতি হতে পারে! ফেরান্দোর মুখে উঠে এল, চোট সমস্যাই। প্রশ্ন উঠছে, এতদিন তাহলে রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি কেন বাড়াতে পারেননি ফেরান্দো কিংবা মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট?

Leave a Reply